কোন ৫ খাবার থাইরয়েড রোগীরা খেলেই বিপদ বাড়বে? ছবি: সংগৃহীত।
অল্প পরিশ্রম করেই হাঁপিয়ে উঠছেন, ওজন বেড়ে যাচ্ছে, চুল ঝরে যাচ্ছে, মুখের জেল্লা হারিয়ে যাচ্ছে— থাইরয়েডের সমস্যা বাড়লে এমন উপসর্গ দেখা যায় রোগীর শরীরে। এই রোগ এক বার শরীরে বাসা বাঁধলে খাওয়াদাওয়ায় কিছু নিয়ম মেনে না চললেই বিপদ। কয়েকটি খাবার কিন্তু থাইরয়েডের রোগীদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই থাইরয়েডকে বাগে আনতে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন জেনে নিন।
১) সয়াবিন: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সয়াজাতীয় কোনও খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
২) বাঁধাকপি-ফুলকপি: কপির মতো যে কোনও খাবারে থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি, ব্রকলি ও কেল পাতার মতো শাকসব্জি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
৩) মিষ্টি: থাইরয়েড থাকলে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে এমন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল।
থাইরয়েড থাকলে অত্যধিক ক্যাফিনজাতীয় কোনও খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কফি: থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক কফি বা ক্যাফিনজাতীয় কোনও খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। তবে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাবেন না।
৫) প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার: যে খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি নুন চিনি এবং তেল থাকবেই। প্রক্রিয়াজাত খাবারেও নুন থাকে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।