কিছু খাবার নৈশভোজে না খাওয়াই ভাল। প্রতীকী ছবি।
ভারী খাবার খেয়ে দিন শুরু করলেও, রাতে কিন্তু একেবারে হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে ঘুম ভাল হয়, শরীরও ঝরঝরে থাকে। রাতে উপোস করে থাকা ঠিক নয়। আবার রাতে এমন কিছু না খাওয়াই ভাল, যেগুলি শরীরের ক্ষতি করে। নৈশভোজ সারতে মাঝেমাঝেই অনেকে রেস্তরাঁয় যান। বাড়ি কিংবা রেস্তরাঁ, যেখানেই নৈশভোজ হোক, কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
ডোবা তেলে ভাজা খাবার
রাতে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তাই এমন কিছু খাবার খাওয়া জরুরি যা সহজপাচ্য। ফিশফ্রাই, কবিরাজি কিংবা পকোড়ার মতো ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার রাতে এড়িয়ে চলা ভাল। এগুলি খেলে গ্যাস-অম্বল হতে পারে।
ঝাল খাবার
বেশি ঝাল খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই রাতে বেশি ঝাল দেওয়া কোনও খাবার খেতে বারণ করা হয়। কারণ রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়েন অনেকে। হাঁটাচলার অবকাশ থাকে না। ফলে হজম হতেও দেরি। তখনই পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বল হয়।
ময়দার জিনিস
ময়দায় প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ থাকে। স্টার্চ শুধু যে ওজন বৃদ্ধি করে, তা নয়, সেই সঙ্গে পেটের গোলমালও বাঁধায়। বিশেষ করে গরমে এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রাতে ময়দা না খাওয়াই ভাল।
কার্বোহাইড্রেট
পাস্তা, চাউমিন, পিৎজ়া, পাউরুটির মতো খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। রাতে কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই ভাল। এতে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কার্বোহাইড্রেট যদি হজম করা যায়, তা হলে কোনও অসুবিধা নেই। দিনে প্রচুর হাঁটাহাঁটি পড়ে, ফলে হজম করতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু রাতে ঘুমিয়ে পড়লে হজম করতে সমস্যা হয়।
চকোলেট
রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো চকোলেট মুখে না দিলে সহজে ঘুম আসে না অনেকেরই। তবে রাতে চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। চকোলেটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মাঝরাতে ভেঙে যেতে পারে ঘুম।