ফুসফুস ভাল রাখতে নিয়মিত কিছু যোগাসন করাও প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
শরীরের যাবতীয় রোগ প্রতিরোধ করার অন্যতম অঙ্গ হল ফুসফুস। শ্বাসের সঙ্গে যে সব দূষিত পদার্থ শরীরে ঢোকে তাদের বাইরে বার করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করে। স্বাভাবিক ভাবেই ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে গেলে সে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তার উপর বাড়ছে দূষণ। এই দূষণ কবলিত সময়ে সবচেয়ে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সবচেয়ে মারাত্মক রূপে দেখা দিতে পারে। আর এই ধরনের সমস্যার উৎস হল ফুসফুস। শরীরের সব ক্রিয়াকলাপ ঠিক রাখতে সুষ্ঠু ভাবে বজায় রাখতে ফুসফুস সুস্থ রাখা দরকার। সঠিক যত্ন না পেলে ফুসফুস নামক অঙ্গটি বিগড়ে যেতে পারে। ফুসফুস ভাল রাখতে সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত কিছু যোগাসন করাও প্রয়োজন।
ফুসফুসের যত্ন নিতে রোজ কোন ব্যায়ামগুলি করবেন?
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে কোনও সমতল জায়গায় পিছন দিকে হাঁটু মুড়ে বসুন। এ বার হাঁটু দু’টি একে অপরের সঙ্গে জুড়ে পায়ের গোড়ালির উপর বসুন। দু’হাতের তালু হাঁটুর উপরে সোজা করে রাখুন। পুরো শরীর টানটান রেখে ৩-৪ মিনিট এই অবস্থায় বসুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। কিছু ক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন সকালে অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই আসনটি করতে পারেন।
শরীরের সব ক্রিয়াকলাপ ঠিক রাখতে সুষ্ঠু ভাবে বজায় রাখতে ফুসফুস সুস্থ রাখা দরকার। প্রতীকী ছবি।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা বেঁকান। শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান যাতে বুক যেন গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। ফুসফুস ভাল রাখতে রোজ এই আসনটি করতে পারেন। উপকার মিলবে।
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে সবার প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক উরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
হস্ত উত্থানাসন
এই ব্যায়ামটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত পাশে রাখুন। শিরদাঁড়া টানটান রাখুন। এ বার চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলুন। এই অবস্থায় পিছন দিকে সামান্য হেলতে হবে। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থাকতে হবে। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা হয়ে দাঁড়ান, দু’হাত নামিয়ে পাশে রাখুন। অর্থাৎ, শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন।