ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণে কী কী খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি-এর যে বিশেষ ভূমিকা থাকে সকলেই জানেন। ত্বক ভাল রাখতে, মানসিক চাপ কমাতে, শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে ভিটামিনটির। এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে কেউ চট করে রোগে পড়তে পারেন, ত্বকও জৌলুস হারাতে পারে।
ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস হল বিভিন্ন রকমের লেবু। পাতিলেবু, কমলালেবু, মৌসুম্বিতে প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন থাকে। কিন্তু যদি লেবু খেলে কারও সহ্য না হয় বা লেবু খেতে ভাল না লাগে, তবে আর কী খাওয়া যাবে?
আমলকি
এই ফলটিরও উপকারিতা কিছু কম নয়। একটু কষা স্বাদের আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম আমলকি থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আমলকি স্বাদ ফেরাতে এবং হজমেও সহায়ক। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। আমলকি ত্বক ও চুলের জন্যেও বিশেষ উপকারী, ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধকারীও।
পেয়ারা
এই ফলটিতেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ওজনের পেয়ারায় ভিটামিন সি-এর পরিমাণ ২২৮ মিলিগ্রাম। পেয়ারায় রয়েছে ফাইবারও। ফলে পেয়ারা খেলে পেট ভরে যায় দ্রুত। রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফলটি।
কারিপাতা
দক্ষিণী রান্নায় ফোড়ন হিসাবে কারিপাতা ব্যবহার করা হয়। তবে ইদানীং বাঙালির হেঁশেলেও রান্নাবান্নায় এটি কাজে লাগছে। ভিটামিন সি রয়েছে এতেও। চুল ভালে রাখতে কারিপাতা ভীষণ কার্যকরী। এ ছাড়া খাবার হজমে, লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম কারিপাতায় ৮০ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
বেল পেপার
স্যালাডেও খাওয়া হয়, আবার রান্নাতেও দেওয়া হয়। ১০০ গ্রাম বেল পেপারে রয়েছে ১৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। চোখ ভাল রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বেল পেপার।
ব্রকোলি
স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এটি। ১০০ গ্রাম ব্রকোলিতে ৮৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি মেলে। ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।