কী কী খেলে অ্যালার্জি হয়? ছবি: সংগৃহীত।
হঠাৎ সারা গায়ে লাল লাল র্যাশ বেরোচ্ছে। খাবার থেকেই যে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন। কিন্তু বেগুন কিংবা চিংড়ি, সাধারণত যে ধরনের খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়, তেমন কিছু তো খাননি! তা হলে গোলমাল শুরু হল কোথা থেকে? চিকিৎসকেরা বলছেন, খাবারে প্রোটিনের গঠন, হিস্টামিন নামক উপাদানের হেরফেরে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতেই পারে। তবে শুধু ডিম, চিংড়ি বা বেগুন নয়, রোজকার পাতে থাকে, এমন কিছু চেনা খাবার থেকেও কিন্তু অ্যালার্জি হতে পারে। সুস্থ থাকতে বুঝে নিন, কোন কোন খাবারে বেশি সমস্যা হতে পারে।
১) ঝিনুক, গুগলি:
এই ধরনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিন্তু এই ধরনের প্রোটিনকে মোটেও ভাল চোখে দেখে না। ফলস্বরূপ ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সকলেরই যে ঝিনুক, গেঁড়ি-গুগলি খেলে অ্যালার্জি হবে, এমনটা নয়।
২) বাদাম:
চিনেবাদাম খেলেও অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কারণ, বাদামের মধ্যেও ‘অ্যালার্জেনিক’ প্রোটিন থাকে। এই ধরনের প্রোটিন থেকেও কিন্তু ত্বকে এগজ়িমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) গরুর দুধ:
সকালের জলখাবারে অনেকেই দুধ-কর্নফ্লেক্স খান। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খাওয়ারও অভ্যাস রয়েছে অনেকের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থেকে অ্যালর্জির সমস্যা হতে পারে। সারা শরীরের র্যাশ বেরোনো ছাড়াও বমি, হজমের সমস্যাও হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তো বটেই, এমনকি যাঁদের অ্যালার্জি নেই, তাঁদেরও দুগ্ধজাত খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল।
ডিম কিন্তু অ্যালার্জির কারণ হতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ডিম:
রোজকার পাতে অনেকেরই ডিম থাকে। ডিম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। তবে ডিম কিন্তু অ্যালার্জির কারণ হতেই পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম তাই না খাওয়াই শ্রেয়। ডায়রিয়া, ত্বকের র্যাশ, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এ ক্ষেত্রে।
৫) গমজাত খাবার:
কেক, কুকিজ, পাউরুটির মতো কিছু ময়দার তৈরি খাবার থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। এই ধরনের খাবার রোজকার পাতে অনেকেরই থাকে। অ্যালার্জির ঝুঁকি এড়াতে তাই এমন কিছু বেশি না খাওয়াই ভাল।