হাঁটুর ব্যথা কি ইদানীং বেশি ভোগাচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কিছু দিন ধরেই হাঁটুর ব্যথা নিয়ে কাতর আত্রেয়ী। সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। শারীরিক পরিশ্রমও অনেকটা কমে এসেছে। ফলে নানা শারীরিক সমস্যা লেগেই রয়েছে। তবে হাঁটুর ব্যথা যেন ইদানীং বেশি ভোগাচ্ছে। এখন অখণ্ড অবসর। হাতে অফুরন্ত সময়। ফলে কাজের চাপে অতীতে যে শখগুলি অধরা থেকে গিয়েছে, সেগুলি পূরণ করার উপযুক্ত সময় এটি। কিন্তু সব ক্ষেত্রে বাদ সাধছে এই হাঁটুর ব্যথা। বসলে উঠতে পারছেন না। উঠলে বসতে পারছেন না। সেখানে বাইরে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। কিছু দিন আগেই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি ওষুধপত্র তো দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বেশ কিছু খাবার খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি কী?
রসুন
রান্নার স্বাদে পরিবর্তন আনা ছাড়াও রসুন শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণাও দূরে রাখে। কারণ, রসুনে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরের পেশি সবল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গরম ভাতে এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়াও কাঁচা রসুনও খেতে পারেন।
আদা
হাঁটুর ব্যথা কমাতে আদা খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে। আদা বহু স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ। সর্দিকাশি কমানো থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা— সবেতেই আদা খুব উপকারী। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও, চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। আদা হাঁটুর ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী।
বাদাম
কাঠবাদাম, কাজুর মতো এমন বিভিন্ন ধরনের বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর ওমেগা ৩ রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। রোজ সকালে ভেজানো বাদাম খান অনেকেই। এই অভ্যাস ভাল। তবে শুধু কাঠবাদাম খেলে হবে না, সঙ্গে খেতে হবে আখরোট আর কাঠবাদামও। এ ছাড়াও ডায়েটে রাখুন চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সিডসের মতো উপকারী কিছু বাদাম এবং বীজ। হাঁটুর ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
বেরিজাতীয় ফল
মরসুমি ফলের স্বাস্থ্যগুণ অনেক। ঠান্ডা লাগা কমানো থেকে শরীরের আরও অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ফল। শীত পড়তেই বাজার ছেঁয়েছে নানা ধরনের বাহারি ফলে। হাঁটুর ব্যথা সারাতে সেখান থেকেই বেছে নিতে পারেন বেরিজাতীয় কিছু ফল। ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। রোজের ডায়েটে এই ফলগুলি রাখলে হাঁটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।