ঘর ও বাইরের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাতে চাইলে খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়াও জরুরি।
মেয়েদের খাওয়ার দিকে বিশেষ যত্ন নিতে অনেকেই বলে থাকেন। আজকাল তা আরও জরুরি। কারণ সংসারের সঙ্গে অধিকাংশেই সামলান বাইরের কাজও। কিন্তু এ ভাবে বলা যত সহজ, করা ততটাও নয়। কারণ কোন খাবার খেলে যে যত্ন নেওয়া হবে, তা অনেকেরই জানা থাকে না।
খাদ্য শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তো প্রয়োজন হয় না, তা বহু অসুখের থেকে বাঁচাতেও পারে। নারীদের শরীরের গঠন পুরুষদের থেকে বেশ আলাদা। তাই কিছু বিশেষ ধরনের খাবার তাদের বেশি কর্মশক্তি জোগাতে পারে।
কয়েকটি খাবারের উপর বিশেষ ভরসা রাখা যেতেই পারে। তাতে কর্মক্ষমতা বাড়ে, আবার অসুস্থতার আশঙ্কাও খানিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
প্রতীকী ছবি।
কোন তিনটি খাবার বাড়াতে পারে কর্মক্ষমতা?
১) ওটস্: হজমের সমস্যা দূর করে এই খাবার। হার্টের সমস্যা ও রক্তচাপও রাখে নিয়ন্ত্রণে। আরও একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ওটস্। মনের উপর যত ধরনের চাপ পড়ে, সব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ওটস্ খেলে শরীর-মন হালকা লাগে। ফলে কাজ করার ইচ্ছা বাড়ে।
২) পালং শাক: পালং শাকের মতো খাবার খুব কমই আছে। এই শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরে ভিটামিন এবং ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হবে না কখনও। তাতে রক্তের শর্করার মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই পিএমএসের সমস্যাও কমবে। ফলে শরীর সতেজ থাকবে। কাজের ইচ্ছা বাড়বে।
৩) টম্যাটো: স্যালাড থেকে বিভিন্ন রান্না, নানা ভাবে ব্যবহার করা হয় টম্যাটো। কিন্তু এর গুণ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা নেই। এই খাদ্যে লাইপোসিন থাকে। যা স্তন ক্যানসার দূরে রাখতে পারে। হার্টের অসুখও কম হয় টম্যাটো খেলে। আর তার সঙ্গে বাড়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। নিজেকে সুন্দর দেখালে সকলেরই কাজেরও উৎসাহ বাড়ে। আর শরীর সতেজ থাকলে বাড়ে কাজের ক্ষমতা।