বাচ্চাকে সুস্থ, চনমনে রাখতে তাদের খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
সন্তানকে সুস্থ রাখতে ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পুষ্টি শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি বু্দ্ধির বিকাশেও সমান ভাবে সাহায্য করে। সন্তানকে সুস্থ-সবল রাখতে তাদের রোজকার পাতে পুষ্টিকর খাবার রাখা প্রয়োজন। ভাত, ডাল, শাকসব্জি, ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে একেবারেই পছন্দ করে না খুদেরা। বরং চিপ্স, চকোলেট, পিৎজা, বার্গার, কোল্ড ড্রিংক— এই ধরনের ‘জাঙ্কফুড’ খেতেই শিশুরা বেশি পছন্দ করেন। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস শিশুর স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। ছোট থেকেই যদি শারীরিক গঠন আর প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত না হয় তা হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই জন্য বাচ্চাকে সুস্থ, চনমনে রাখতে তাদের খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন খাবার থেকে বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পেতে পারে, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। এর একটি সহজ সমাধান দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা বলছেন, বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকা মেনে চলতে বলছেন।
কী এই ‘জিবিওএমবিএস’?
১) জি-এর অর্থ গ্রিন। অর্থাৎ সবুজ শাকসব্জির কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসব্জি বাচ্চাদের বেশি করে খাওয়ানোর কথা বলছেন। শিশুকে সুস্থ ও ফিট রাখার পাশাপাশি বয়সকালেও ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো অসুখের আশঙ্কা হ্রাস করে।
২) বি-এর অর্থ বিন্স। শরীরে যত্ন নিতে একটি অপরিহার্য সব্জি হল বিনস্। বাচ্চারা বিন্স খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। ভিটামিন ও বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ বিন্স শিশুদের বেশি করে খাওয়ানোর কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।
৩) ও-এর অর্থ ‘অনিয়ন’। কাঁচা পেঁয়াজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। রান্নায় বেশি পেঁয়াজ না ব্যবহার করে বাচ্চাকে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
৪) এম-এর অর্থ মাশরুম। এমনিতেই মাশরুম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। বাচ্চাদের জন্য এটি আরও বেশি স্বাস্থ্যকর। শিশুর প্রতি দিনের খাবারে রাখতে পারেন মাশরুম।
৫) বি-এর অর্থ বেরি। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বেরি জাতীয় ফল দারুণ কার্যকর। মরসুমি ফলের পাশাপাশি শিশুর রোজের খাবারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি জাতীয় ফল।
৬) সি-এর অর্থ সিডস্। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, মিনারেলস, ফাইবার সমদ্ধ ফ্ল্যাক্স বীজ, চিয়া বীজ, তিসির বীজ শিশুর রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন।