কিডনি স্টোন থেকে সাবধান। ছবি: সংগৃহীত।
জল কম খাওয়া, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা— এমন বেশ কিছু কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিডনিতে পাথর হয়েছে— বিষয়টি শুনতে সহজ মনে হলেও, যাঁরা এই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা জানেন, কতটা অসহনীয় এই দুর্ভোগের যন্ত্রণা। যত ক্ষণ অস্ত্রোপচার না হচ্ছে, তত ক্ষণ চলে কষ্ট।
অনেক সময় কিডনিতে যে পাথর হয়েছে, তা প্রথম দিকে টের পাওয়া যায় না। উপসর্গগুলি এত মৃদু হয় যে, বাইরে থেকে সব সময় তার আঁচ পাওয়া যায় না। ফলে অসুখ ধরাও পড়ে অনেক দেরিতে। তখন কষ্ট আরও বেশি হয়। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ এক বার এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মানে, দ্বিতীয় বার যে এমন আর হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই এক বার কিডনিতে পাথর হলেও সাবধানে থাকা জরুরি। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা দরকার। দ্বিতীয় বার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চাইলে কোন খাবারগুলি পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন?
প্রক্রিয়াজাত মাংস
মনের আনন্দে সালামি, সসেজ, চিকেন পিৎজ়া খাওয়ার আগে এক বার কিডনিতে পাথর হওয়ার ব্যথার কথা মনে করুন। কারণ, এই ধরনের খাবার লাগাতার খাওয়া মানেই কি়ডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়া। এই খাবারগুলিতে থাকে সোডিয়াম, ফ্যাট, চিনি, নাইট্রেটস। অত্যধিক সোডিয়াম মূত্রে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সেখান থেকে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সোডা পানীয়
সোডা মিশ্রিত পানীয় কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের পানীয়ের প্রতি ভালবাসা থেকে শুধু যে পাথর জমে তা-ই নয়, কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য রোগেরও জন্ম হয়। তাই এক বার কিডনিতে পাথর হলে ঝুঁকি এড়াতে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
চা, কফি
কাজের যতই ব্যস্ততা থাক, মাঝেমাঝে চা, কফির কাপে চুমুক দিতে ভোলেন না কেউই। অথচ এত ঘন ঘন চা, কফি খাওয়ার অভ্যাসেই কি়ডনিতে পাথর হয়। পরিমিত খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে খেলেই মুশকিলে পড়তে হতে পারে।