শিশুর বুদ্ধি বাড়বে কোন খাবারের গুণে? ছবি- সংগৃহিত
সকলেই চান তাঁর সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হোক। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি, তার মগজাস্ত্রে শান দেওয়াও প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই সময়ে শিশুর ডায়েটে নজর রাখা প্রয়োজন।
শিশুর রোজের খাবারে এমন কিছু পুষ্টিকর জিনিস রাখতে হবে, যাতে তার মস্তিষ্ক থাকবে সচল, স্মৃতিশক্তিও হয় ভাল। ভাবছেন তো কী রাখবেন তার পাতে?
১) ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান এবং ক্যাফিন-সহ প্রচুর প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে। তা মনোযোগ বাড়ায়। এবং এন্ডোরফিনের উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে। যা মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই সাধারণ চকোলেটের বদলে শিশুকে ডার্ক চকোলেট খাওয়াতে পারেন।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার ভিটামিন ই-র ভাল উৎস। ছবি- সংগৃহিত
২) তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খাওয়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। যে সব মাছে তেল বেশি, তেমন কিছু বড় মাছ নিয়মিত খাওয়াতে পারেন।
৩) বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার: বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার ভিটামিন ই-র ভাল উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই মস্তিষ্কের দক্ষতা হ্রাস পাওয়া কমায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে রোজের ডায়েটে শুকনো ফল যেমন— আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ রাখতে পারেন।
৪) ব্লুবেরি: রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো আর ফল হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এতে মস্তিষ্ক সচল রাখা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
৫) ওট্স: এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। পেটের নানা সমস্যা দূর করে। শরীরের জন্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে ওট্স। তাই শিশুদের নিয়মিত ওট্স খাওয়ান। এই খাবার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ওট্সের কুকিজ, কেক, বিস্কুট খেতে পারেন।