ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণা বশে রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিড ইতিমধ্যেই বাড়ির মা-কাকিমাদের কব্জা করে ফেলেছে। হাঁটুর ব্যথায় তাঁদের হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণা মাঝেমাঝেই ভীষণ অসহনীয় হয়ে ওঠে। ওষুধ খেয়েও তখন স্বস্তি পাওয়া যায় না। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে খাওয়াদাওয়ায় বড় বদল আসে। প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়ার পাশাপাশি তেল-মশলাও বাদ দিতে হয় জীবন থেকে। তবে কিছু খাবার অ্যাসিডের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। পুজোর আগে সেই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকুন।
প্রোটিনে সমৃদ্ধ ফ্যাট
ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন উপকারী হলেও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। তাই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমান। সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংসের বদলে বেশি করে খান ফল, সবুজ শাকসব্জি। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
তেঁতুল
অনেকেই হয়তো জানেন না, তেঁতুল বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুক্টোজ়ের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট
স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের ফ্যাট ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য একে বারেই ভাল নয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট যত বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করবে, ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। সুস্থ থাকতে রেড মিট, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার পাতে রাখবেন না।