চিকিৎসকরা পার্কিনসন্সের অন্য নতুন কয়েকটি উপসর্গের উল্লেখ করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
বয়স ৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পরেই মূলত ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্সের মতো রোগের শিকার হন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখন কমবয়সিদের মধ্যেও পার্কিনসন্স থাবা বসাচ্ছে। দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, খাবারে টক্সিনের উপস্থিতি এবং জিনঘটিত কারণে পার্কিনসন্সের মতো রোগের শিকার হতে হচ্ছে। এটি এক ধরনের স্নায়ুর অসুখ। এই রোগে স্নায়ুকোষ বা নিউরোন মারা যেতে পারে। ফলে ব্যাহত হয় স্নায়বিক কার্যকলাপ, নড়াচড়ার উপর ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন রোগী। প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে হাত-পায়ে অনিচ্ছাকৃত কম্পন দেখা দেওয়া, হাঁটাচলা শ্লথ হয়ে যাওয়া, পেশি ক্রমশ শক্ত হয়ে আসা, কথা বলার সময় কথা জড়িয়ে যাওয়া— এগুলি পার্কিনসন্সের প্রাথমিক কয়েকটি উপসর্গ। এ ছাড়াও পায়ের কয়েকটি উপসর্গও বলে দেবে আপনি পার্কিনসন্সের শিকার কি না। পায়ের পেশিতে হঠাৎ টান ধরা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মতো কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এগুলি ছাড়াও চিকিৎসকরা পার্কিনসন্সের অন্য নতুন কয়েকটি উপসর্গের উল্লেখ করেছেন।
পার্কিনসন্স নড়াচড়া করার ক্ষমতাও কেড়ে নিতে পারে। পার্কিনসন্সে আক্রান্ত হলে হাঁটার সময় শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই রোগের শুরুর দিকে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যেতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের দু’দিকই অবশ হয়ে যায়।