জরায়মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
স্তন ক্যানসার ছাড়াও আর যে ক্যানসার মহিলাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি হানা দেয়, জরায়ুমুখের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মহিলা এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এই ধরনের ক্যানসারের নেপথ্যে কারণ হল ‘হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস’। ‘এইচপিভি’ অন্যতম কারণ হলেও একমাত্র নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ২০ বছরের কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায় না। ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সি মহিলাদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে ৬০ বছরের পরেও কিন্তু হানা দিতে পারে এই মারণরোগ।
অনেক ক্ষেত্রেই ক্যানসার ছড়িয়ে যাওয়ার পর ধরা পড়ে। কিন্তু তত ক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তাই এই ক্যানসারের লক্ষণগুলি জেনে রাখা জরুরি। তা হলে অন্তত সতর্ক হওয়া যাবে। অতিরিক্ত সাদা স্রাব, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, কোমর ও তলপেটে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া— এই লক্ষণগুলি অনেকেই এড়িয়ে যান। এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে একেবারে সময় নষ্ট না করে সোজা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ, ফেলে রাখলে বাড়তে পারে বিপদ। এমনকি, মৃত্যুর আশঙ্কাও থেকে যায়।
এখনও পর্যন্ত এই ক্যানসার নিয়ে বিশেষ সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তবে কিছু নিয়ম মানলে এবং সচেতন হলে জরায়ুমুখের ক্যানসারের মতো মারণরোগ আটকে দেওয়া যেতে পারে।
১)পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। কারণ, পিসিওএস-এর রোগীদের জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
২) গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের। ইচ্ছামতো এই ওষুধ খেলে চলবে না। চিকিৎসকের বলে দেওয়া নিয়ম মেনে এই ওষুধ খেতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৩) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সবুজ শাকসব্জি, ফল, ঘরে তৈরি খাবার বেশি করে খেতে হবে। তা হলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো যাবে।
৪) শারীরিক সম্পর্কের সময় একটু সাবধানে থাকা জরুরি। কন্ডোম ব্যবহার করা একমাত্র সুরক্ষা কবচ নয়। এ বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।
৫) ধূমপানের অভ্যাসও কিন্তু জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপানের অভ্যাসে রাশ টানা জরুরি।