কম খরচেও যত্ন নেওয়া যায় ত্বকের। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের উপযুক্ত যত্ন নিতে পার্লারে যান অনেকেই। পার্লার গেলে পেশাদার কারও তত্ত্বাবধানে ত্বকের খেয়াল রাখা সম্ভব হয়। কিন্ত পার্লারে গেলে পকেটের টানও বাড়ে। বেশ অনেকটা টাকা খরচ হয় পার্লারে গেলে। পার্লারে যদি নাও যান, ত্বকের যত্ন নিতে বহুমূল্য প্রসাধনীর প্রয়োজন হয়। তবে রূপচর্চার জন্য এত টাকা খরচ করতে চান না অনেকেই। তাই বলে কি যত্নের অভাবে ত্বক নিস্তেজ হয়ে প়ড়বে? সেটা হতে দেওয়া যাবে না। বাড়তি খরচ করতে না চাইলে বাড়িতেই ঘরোয়া টোটকায় বাড়িতেই যত্ন নিন ত্বকের।
অ্যালোভেরা জেল
শীতেও সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বলে ত্বকে ট্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ি বসে থাকা যায় না। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই ‘সানবার্ন’ আটকাতে ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে ট্যান তুলতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প জেল নিয়ে ত্বকে ভাল করে মালিশ করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে।
টম্যাটো ও দইয়ের প্যাক
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরেও ট্যান হচ্ছে ত্বকে। চটজলদি ত্বকের ট্যান তুলতে আপনার ভরসা হতে পারে টম্যাটো ও দইয়ের ফেসপ্যাক। এই দুটি উপাদানেই রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি-এর জুড়ি মেলা ভার। টম্যাটোর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্কের মতো মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে অসাধারণ কাজ করে এই ফেসপ্যাকটি।
চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও স্ক্রাবার হিসাবে দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
চিনির স্ক্রাবার
ত্বক ভাল রাখতে রোজকার রূপরুটিনের অন্যতম অঙ্গ হল এক্সফোলিয়েশন। মৃত কোষ দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন স্ক্রাব করা প্রয়োজন। চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও স্ক্রাবার হিসাবে দারুণ কাজ করে। বাদামি চিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন। ত্বকের মরা চামড়া দূর হয়ে ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।
এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। গুড় চা খাওয়ার আগে এক বার পেশাদার মতামত নিয়ে নেওয়া জরুরি।