এই ভ্যাপসা গরমে শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ছিপছিপে হওয়ার ইচ্ছা। তাই হাতে যে কয়েকটি দিন সময় আছে, তা কাজে লাগাতে হবে। অন্যান্য সময়ে যতটা হালকা চালে জিম করেন, এখন একটু বেশিই পরিশ্রম করতে হচ্ছে। এই ভ্যাপসা গরমে জিমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরও যেন হিট চেম্বার হয়ে উঠেছে। বার বার চোখ-মুখে জল দিয়েও কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। ঘামের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। একটু শরীর নাড়াচাড়া করতেই ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। জিম করতে গিয়ে খুব কষ্ট হলে হঠাৎ মনে হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক হল না তো। জিমের প্রশিক্ষকেরা বলছেন, শরীরচর্চা করলে ঘাম হবেই। তবে, এই আবহাওয়া অস্বস্তি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। ঘামলে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তাই শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
গরমে শরীরচর্চা করার সমস্যা হল অতিরিক্ত ঘাম। ছবি: সংগৃহীত।
১) আর্দ্রতা
গরমে শরীরচর্চা করার সমস্যা হল অতিরিক্ত ঘাম। যা শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। তার উপর এই ভ্যাপসা গরমে যদি অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করেন, তখন ক্লান্ত লাগতেই পারে। হিট স্ট্রোকের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই জিমে যাওয়ার আগে এবং পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। যাঁদের ঘাম বেশি হয়, তাঁরা প্রয়োজনে নুন-চিনি-লেবুর রস দেওয়া জলও খেতে পারেন।
২) সঠিক পোশাক
প্রিয় তারকাদের দেখে আঁটসাঁট একটি অ্যাক্টিভওয়্যার কিনে ফেলছেন। কিন্তু সেই পোশাক পরার পর থেকেই দমবন্ধ হয়ে আসছে। বুকে চাপ ধরছে। এই ধরনের পোশাক পরলে শারীরিক কষ্ট বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কারণ, এই ধরনের পোশাক সাধারণত নাইলনজাতীয় ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি হয়। যা শরীরে হাওয়া চলাচলে বাধা দেয়। অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
জিম, যোগাসন বা সাঁতার— যা-ই করুন না কেন, তা করার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৩) তাপমাত্রা
প্রতি দিন আবহাওয়া একই রকম থাকে না। পারদের ওঠানামা বুঝে কায়িক পরিশ্রমের মাত্রা ঠিক করতে হয়। সে ক্ষেত্রে যে দিন খুব গরম পড়ছে বা আবহাওয়ায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি, সে দিন জোর দিয়ে শরীরচর্চা না করাই ভাল।
৪) অতিরিক্ত শরীরচর্চা নয়
অন্যান্য সময়ে রুটিন মেনে, তালিকা দেখে ধরে ধরে শরীরচর্চা করেন। কিন্তু রোগা হওয়ার লক্ষ নিয়ে খুব বেশি কসরত করলে তা শরীর না-ও নিতে পারে। তাই শরীরের অবস্থা বুঝে, আবহাওয়া কেমন তা দেখে, শরীরচর্চার মাত্রা কম-বেশি করা যেতে পারে।
৫) পর্যাপ্ত বিশ্রাম
হাতে সময় বেশি নেই। তাই জিম করেই ছুটে বেরিয়ে কাজে চলে গেলেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া হল না। তৎক্ষণাৎ শরীরে তার প্রভাব না পড়লেও এমন অভ্যাসে শরীর বেশি দিন সুস্থ থাকবে না। হিতে বিপরীত হবে। তাই জিম, যোগাসন বা সাঁতার— যা-ই করুন না কেন, তা করার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।