কেন অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন? ছবি: শাটারস্টক।
অল্প হাঁটাহাঁটি করলেই হাঁপ ধরে? বাড়িতে দোতলা থেকে ওঠানামা করলেই দম ফুরিয়ে আসে? এই সব উপসর্গ কিন্তু ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস তো বটেই, চারপাশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা দূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি।
ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে, বুকে বার বার কফ জমলে, কাঁধ-পিঠে যন্ত্রণা হলে কিংবা গলার স্বর পরিবর্তন হলে সতর্ক হন। কেবল শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাই নয়, এই সব লক্ষণও ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। কোন কোন অভ্যাসে বদল আনলে চাঙ্গা থাকবে ফুসফুস?
১) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সবার আগে ধূমপান ছাড়তে হবে। এমনকি, কাছাকাছি কেউ ধূমপান করলেও চেষ্টা করুন সেই স্থান থেকে সরে আসতে। অন্য কেউ ধূমপান করলে সেই ধোঁয়া কিন্তু নিজে ধূমপান করার থেকে আরও বেশি ক্ষতিকর।
২) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের শ্বাসের ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চায় বাড়ে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা। ধনুরাসন, ভুজঙ্গাসন, মৎসাসন, পদ্মসর্বাঙ্গাসন, অর্ধ মৎসেন্দ্রাসন ও পদহস্তাসনের মতো আসন নিয়মিত করলে ভাল থাকে ফুসফুস। এ ছাড়াও শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে করলে তবেই কাজ হবে।
ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে হলে কিন্তু ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে হলে কিন্তু ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন বেড়ে গেলেই ফুসফুসের উপর বেশি চাপ পড়তে শুরু করে ফলে অঙ্গটির কার্যকারিতা কমে যায়।
৪) ঘরে কিংবা গাড়িতে কাউকে ধূমপান করতে বারণ করুন। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন। ফুসফুসের কোনও রকম সমস্যা থাকলে বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৫) রঙিন ফল এবং সব্জি ফুসফুস ভাল রাখতে কাজে আসে। বিশেষ করে যাঁরা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় জর্জরিত, তাঁদের জন্য এ ধরনের সব্জি বেশ উপকারী। ক্যাপসিকাম, টোম্যাটো, কমলালেবু, পালং শাকের মতো সব্জিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক উপাদান। এই অ্যান্থোসায়ানিন ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।