পুজোর পর পুরনো রুটিনে ফিরবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর চার-পাঁচটা দিন ঘিরে বাঙালির যত উন্মাদনা। এই চার-পাঁচটা দিনের লাগামছাড়া আনন্দ শেষে আবার গতে বাঁধা জীবনে ফিরে আসা। খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা, কাজকর্ম— সব কিছু আগের রুটিনে ফিরিয়ে আনা খুব সহজ নয়। শুরুতেই কঠিন কিছু না করে, একটু একটু করে পুরনো ছন্দে ফিরে আসতে চেষ্টা করুন। কী ভাবে উৎসবের রেশ কাটাবেন? কী করবেন ডিটক্সের জন্য? রইল কিছু হদিস।
১) জল খাওয়া: যে কোনও রকম অসুস্থতা হোক বা ওজন ঝরানো— সবেতেই অপরিহার্য জল। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। দিনের আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাওয়া আবশ্যক। এর ফলে চাঙ্গা হবে শরীর। ঘুম থেকে উঠে চায়ের বদলে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া শুরু করুন। এক-এক দিন পাল্টে পাল্টে এক-এক রকম জল খান।
২) খাওয়াদাওয়ার রুটিন: পুজোয় বেলাগাম খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি অনিয়ম করাও একটি বড় কারণ এই সময়ের ক্লান্তির পিছনে। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করলে আবার দৈহিক শক্তি ফিরে পাবেন আগের মতো। সূর্যাস্তের আগে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তা একান্ত সম্ভব না হলে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে সারুন রাতের খাবার। বাইরের খাওয়াদাওয়া ছেড়ে এ বার বাড়ির খাওয়াদাওয়া খান নিয়মিত।
৩) যোগাসন ও শরীরচর্চা: দিন শুরু করুন যোগাসনের মাধ্যমে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা জিমে যান তাঁরা আবার নিয়ম করে জিমে যাওয়া শুরু করুন। প্রথমেই খুব ভারী শরীরচর্চা করতে যাবেন না। কারণ বেশ ক’দিনের অনভ্যাসের পর সড়গড় হতে একটু হলেও সময় লাগবে।
৪) সব্জি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার: শাকপাতা বা ব্রকোলির মতো শাকসব্জি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তার সঙ্গে খান বিন্স, অ্যাভোক্যাডো বা শুকনো ফলের মতো ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। সারা দিনের বিভিন্ন খাবারের মধ্যে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যোগ করুন। পুজোর সময় যে রাজকীয় ভূরিভোজ হয়েছে, তার পর কয়েকটা দিন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বাদ দিলে খুব একটা ক্ষতি হবে না
৫) পর্যাপ্ত ঘুম: একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রয়োজন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম। মস্তিষ্ককে সচল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পুজোর হুল্লোড়ে অনেকেরই ঘুমের রুটিন ব্যাহত হয়েছে। এ বার সময় সেই রুটিনে অবিলম্বে আবার ফিরে যাওয়ার। রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় না দেখে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়ুন।