শীতকালে আমরা জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিই, আর তাতেই হয় বিপত্তি। ছবি: শাটারস্টক
শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অনেকেরই প্রিয় মরসুম এই শীতকাল। তবে এই ঋতুতেই মারাত্মক রোগের কবলে পড়ি আমরা। এই মরসুমে করোনা, ভাইরাল জ্বর, ঠান্ডা লাগা তো আছেই, তার উপর আবার দোসর হয়েছে ডেঙ্গি। এই সময় নানা রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে হবে। কী কী করলে বাড়াবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা?
জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে: শীতকালে আমরা জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিই। আর তাতেই হয় বিপত্তি। শারীরবৃত্তিয় কাজ পরিচালনার জন্য মূল প্রয়োজন হয় জলের। দেহে জলের ঘাটতি হলে অঙ্গগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। তাই প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়।
মানসিক চাপ মানেই কমজোরি: কখনও পারিবারিক অশান্তি, কখনও অফিসের কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা। সব মিলিয়ে শরীর মনের স্ট্রেস বাড়ে শিশু থেকে বড় সকলেরই। রাতের ঘুমটুকু ছাড়া বিশ্রামের তেমন ফুরসত নেই। তাও পর্যাপ্ত ঘুম হয় না অনেকেরই। এর প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। সুস্থ থাকতে দিনে টানা আট ঘণ্টা ঘুমের খুব প্রয়োজন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে হলে রোজ নিয়ম করে যোগাসনে মন দিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
খাওয়াদাওয়ায় নজর: ইমিউনিটি রাতারাতি যেমন বাড়ে না, তেমনই কমেও যায় না। যদি না কেউ অপুষ্টিতে ভোগেন, এইচআইভি পজ়িটিভ হন বা জন্মগত ইমিউনিটির সমস্যা থাকে। তবে আমাদের সকলের শরীরেই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে। তার জন্য ছোট-বড় সকলেই চাইলে ভিটামিনের বড়ি খেতে পারেন। এ ছাড়া ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও শাক-সব্জি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন আদা, হলুদ, গোলমরিচ এবং অন্যান্য মশলা। এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
যোগাভ্যাসে মন: শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে হলে রোজ নিয়ম করে যোগাসনে মন দিতে হবে। ধনুরাসন, বৃক্ষাসন, তাড়াসনের মতো আসনগুলি রোজ অভ্যাস করলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এর পাশাপাশি প্রাণায়ামও করতে হবে দিনে অন্তত ১৫ মিনিট করে।
এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার: এই প্রকার তেলের ব্যবহারও কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।