আতা খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
‘আতা গাছে তোতাপাখি, ডালিম গাছে মৌ’ ছোটবেলায় এই ছড়া পড়েননি এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণেই আপেল, লেবু, কলা বা বেদানার মতো জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছতে পারেনি আতা। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আতা যে শুধু আইসক্রিমের ফ্লেভার হিসাবেই ভাল, তা নয়। আতার কিন্তু নানাবিধ পুষ্টিগুণ আছে। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে আতায়। কোষ্ঠ পরিষ্কার করা থেকে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা— সবই হয় আতার গুণে। এই ফল আর কোন কোন উপকারে লাগে জানেন?
১) দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলতে না পারলে তা শরীরে জমা হতে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করলে ক্যালোরি জমার ভয় থাকে না। কিন্তু তা না করতে পারলে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। আতা হল তেমনই একটি ফল, যার মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। তা ছাড়া, আতার মধ্যে যে ধরনের শর্করা থাকে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
২) আতায় যে ধরনের ফাইবার থাকে, তা সহজপাচ্য। তা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এই ফাইবারের গুণেই অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে।
৩) বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজের সম্ভার হল আতা। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে এই ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যাতেও আতা উপকারী।
আতা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ওজন ঝরানোর প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল বিপাকহার উন্নত করা। আতায় রয়েছে অ্যাসটোজেনিন নামক একটি উপাদান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটি বিপাকহারের মান বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যার প্রভাব পড়ে ক্যালোরির উপর।
৫) রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে আতা ‘স্টেবিলাইজ়ার’ হিসাবে কাজ করে। তা ছাড়া, আতার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। তাই ডায়াবিটিস থাকলেও এই ফল খাওয়া যায়। রক্তে হঠাৎ শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে যে ধরনের বিপদ হয়, তা এড়িয়ে চলা যায় আতা খেলে।