কোন ৫ লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন শিশু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না? ছবি: সংগৃহীত।
জিনঘটিত কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবিটিস। অর্থাৎ বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস থাকলে পরিবারের ছোট সদস্যদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। তাই বাড়ির বড়রা ডায়াবেটিক হলে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে।
শহুরে খাদ্যাভাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। এখন টিফিনে বাড়িতে রান্না করা খাবারের বদলে প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেই বেশি নির্ভর করেন অভিভাবকেরা। শিশুদের মধ্যে চকোলেট, স্যান্ডউইচ, পাস্তা কিংবা ইনস্ট্যান্ট নুডল্সের পাশাপাশি মোমো, চিপ্স, বার্গার খাওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে। আর এই অভ্যাসের ফলেই রক্তে শর্করা বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, অধিকাংশ শিশুই এখন খেলাধুলোয় অভ্যস্ত নয়। অবসর সময়ে তারা ঘরে বসে ভিডিয়ো গেম খেলে কিংবা ইন্টারনেটেই সময় কাটায়। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জেরেও কিন্তু টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
শিশুদের মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখলে ডায়াবিটিস বিষয়ে সতর্ক হবেন?
১) খুদের কি বার বার জল তেষ্টা পাচ্ছে? এটি কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ডায়াবিটিসের কারণে জিভে লালার পরিমাণ কমে যায়। সে কারণে গলা শুকিয়ে যায় বার বার। ডায়াবিটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে থাকলে তা থেকে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।
২) শিশুর দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? এর কারণ কিন্তু কেবল টিভি দেখার বা মোবাইল ঘাঁটা না-ও হতে পারে। ডায়াবিটিসের কারণেও চোখের সমস্যা হতে পারে।
৩) খুদের দাঁত মাজতে গিয়ে দেখছেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? আপনি হয়তো ভাবছেন ব্রাশ বদলাতে হবে। ডায়াবিটিস থাকলেও কিন্তু মাড়িতে প্রদাহ হয় এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। শিশুর মুখের ভিতরের অংশ, জিভে মাঝেমাঝেই ঘা হলে বা জ্বালা করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না। ডায়াবিটিসের কারণে এমন হতেই পারে। তাই সময় মতো চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৪) ঘন ঘন প্রস্রাব করাও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। সন্তান যদি বার বার বাথরুমে যায়, তা হলে বুঝতে হবে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে।
৫) শিশুর শরীরে মাঝেমধ্যেই র্যাশ বেরোচ্ছে? গা-হাত-পায়ে কালো ছোপ পড়ছে? এই উপসর্গ দেখেও সতর্ক হতে হবে।