ওজন ঝরাতে হবে হাঁটুন ৫ নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
সুস্থ থাকতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ— সব সমস্যার সমাধান একটাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার সময় না পেলে কেবল মাত্র নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলেই ওজন কমানো সম্ভব। অনেকে বলেন, দিনে দশ হাজার পা হাঁটাই আদতে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। কিন্তু কী ভাবে হাঁটলে, দিনে কতটা হাঁটলে তা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে, এটা না জানলে পণ্ডশ্রম! বাজার-দোকান, অফিস, কেনাকাটা ইত্যাদিতে হেঁটে গেলেই উপকার পাবেন, না কি ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট গতিতে হাঁটলে তবেই মিলবে সুফল?
একটানা হাঁটাতেই লুকিয়ে সুফল। টুকটাক খুচরো হাঁটায় শরীরের কলকব্জা ভাল থাকে ঠিকই, কিন্তু তাতে ওজনের হেরফের হয় না। ফিটনেসবিদদের মতে, লক্ষ্য রাখতে হবে সেকেন্ডে দু’পা হাঁটা। অত হিসাব কষতে না পারলে অন্তত ১৫-২০ মিনিটে দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারলে ভাল। তবে কেবল হাঁটলেই হল না, দ্রুত ওজন ঝরাতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
১) একটানা জোরে হাঁটলে হবে না, হেঁটে দ্রুত ওজন ঝরাতে হলে খানিক ক্ষণ জোরে হাঁটার পর, খানিক ক্ষণ মাঝারি গতিতেও হাঁটতে হবে। এক টানা দ্রুত হাঁটলে আপনি অল্পেই হাঁপিয়ে পরবেন, তাই হাঁটার গতিতে দ্রুত ও মাঝারি লয়ের ভারসাম্য রেখে চলা জরুরি।
২) নিয়মিত হালকা ওজন নিয়ে হাঁটলেও কিন্তু দ্রুত ক্যালোরি ঝরে। এ ক্ষেত্রে হাতে হালকা ওজনের ডাম্বল নিয়েও হাঁটতে পারেন।
৩) ক্যালোরি ঝরাতে হাঁটার সময় যতটা বেশি হাঁটু ওঠাতে পারবেন, ততই ভাল। হাঁটাহাঁটি করার সময়ে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলেই বিপদ। ডিহাইড্রেশনের সময়ে হাঁটলে অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। পেশিতে টান ধরবে। ফলে হাঁটার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
৪) দ্রুত ক্যালোরি ঝরাতে ‘সাইড ওয়াক’ কিংবা ‘ব্যাক ওয়াক’ করতে পারেন। পেশির শক্তি বৃদ্ধি করতে এই হাঁটার পদ্ধতিগুলি বেশ উপযোগী।
৫) মাথায় একগাদা চিন্তা নিয়ে হাঁটবেন না। হাঁটা একটা নেশা। অভ্যাসের মতো রুটিনে ঢুকিয়ে নিয়ে দেখুন, মন্দ লাগবে না। কিন্তু প্রথম প্রথম একঘেয়ে লাগলে মোবাইলের হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হাঁটুন। এতে এমন কিছু হরমোন ক্ষরিত হবে, যা দুশ্চিন্তা কমায়। তবে বড় রাস্তায় গেলে কানে হেডফোন গুঁজে হাঁটার সময়ে সচেতন থাকুন। হাঁটার সময় হাঁটার পদ্ধতি, শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতি, হাত নাড়ানোর পদ্ধতির দিকেও নজর রাখতে হবে।