বর্ষাকালে পেটের সংক্রমণ এড়িয়ে চলবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় বাজার থেকে কিনে আনা একেবারে টাটকা সব্জি ব্যবহার করছেন। রোজের খাবার যেন রোজ শেষ হয়ে যায়, তাই জন্য পরিমাণ মতোই রান্না করছেন তবুও অল্প হলেও খাবার অতিরিক্ত থেকেই যায়। বর্ষাকালে খাবার ফ্রিজে রাখলেই তা নষ্ট হয়ে যায়। নেপথ্যের কারণে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক। শুধু খাবার নয়, পরিষ্কার জামা-কাপড়েও তাদের আনাগোনা দেখা যায়। আসলে বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এমন আবহাওয়ায় ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়াদের বংশবিস্তার করতে সুবিধা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি টোটকা মাথায় রেখে চলতেই হবে।
১) বাজার থেকে কিনে আনা ফল, সব্জি না ধুয়ে ফ্রিজে তুলে রাখা যাবে না। কলের জলে সেগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে, শুকিয়ে তার পর ফ্রিজে রাখুন। শাকপাতা বাজার থেকে এনে দিনের দিনেই বানিয়ে ফেলুন। ফ্রিজে না রাখাই ভাল।
২) চাল, ডাল, মশলা, এমনকি রান্না করা খাবার— সংক্রমণ রুখতে বায়ুরোধী পাত্রে রাখতে পারেন। বর্ষাকালে নুন এবং চিনি গলে জল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই তা কাচের পাত্রে রাখতে পারলে ভাল।
৩) খাবার নষ্ট হওয়ার পিছনে ফ্রিজেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এই সময় নিয়ম করে ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ বাজার থেকে কেনা জিনিস সরাসরি ফ্রিজে তুলে রাখেন অনেকেই। কোনও ভাবে যদি ভাইরাস সেই খাবারের সঙ্গে ফ্রিজের মধ্যে প্রবেশ করে যায়, তা হলে আর দেখতে হবে না। এই ভুল থেকেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত এক বার ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি।
৪) গরম খাবার ঠান্ডা করার জন্য টেবিলের উপর খুলে রেখে দেন? খাবারের উপর মাছি বলেও কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এ ছা়ড়া, বর্ষাকালে বাতাসে এমন কিছু ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘোরে, যেগুলি খালি চোখে দেখা যায় না। তাই কোনও ভাবেই খাবার খুলে রাখা যাবে না।
৫) যে চামচ দিয়ে রান্না করা তরকারি নিয়েছেন, সেই চামচ দিয়েই খাওয়ার আগে ডাল ঘেঁটে নিলেন। খাবার খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া ওই ডাল, তরকারি ফ্রিজে তুলেও রাখলেন। এই অভ্যাস থেকেই কিন্তু খাবার নষ্ট হয়। সেই থেকেও হতে পারে পেটের সংক্রমণ।