কোন মশলার গুণে দূর হবে দাঁতের শিরশিরানি? ছবি: শাটারস্টক।
ঠান্ডা লেগেছে? গলায় ব্যথা আর খুসখুসে কাশি শুরু হয়েছে? মা-দিদিমাদের কাছে গেলেই তাঁরা বলেন, দু-চারটে লবঙ্গ মুখে পুরে নিলেই সমস্ত রোগবালাই পালাবে। লবঙ্গের গুণের শেষ নেই। ঠান্ডা লাগার সমস্যা ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে নানা অসুখবিসুখের হাত থেকে লবঙ্গ আমাদের রক্ষা করে। জেনে নিন, নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়ায় বা অন্যান্য প্রয়োগে কী কী সুফল পাওয়া যায়।
১) বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গে থাকা নাইজেরিসিন রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই রোজ যদি একটি করে লবঙ্গ খেতে পারেন, উপকার পাবেন। বিশেষ করে ডায়াবিটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, লবঙ্গ তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
২) সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগা জনিত আরও অনেক সমস্যায় লবঙ্গ তেল মালিশ করেন অনেকেই। মরসুম বদলের সময় লবঙ্গের তেল অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। খুসখুসে কাশি হলে মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।
লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত লবঙ্গ দেওয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাড়ি সুস্থ থাকে। ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে দাঁত বাঁচায়। নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাসে দাঁতের সমস্যা হাত থেকে দ্রুত রেহাই মেলে।
৪) পেপটিক আলসারে আক্রান্ত? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গের এসেন্সিয়াল অয়েল ‘গ্যাসট্রিক মিউকাস’-এর উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও লবঙ্গ খেতে পারেন রোজ।
৫) হাড়ের ক্ষয় এমন একটি সমস্যা, যা বয়স্কদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গে থাকা উপাদানগুলি হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম করে লবঙ্গ তেল দিয়ে মালিশ করা উচিত।