ওজন কমাতে চান? ছবি: সংগৃহীত।
৩৬ বছর বয়সি মৈনাকের শরীরে বাসা বেঁধেছে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ায় তিনি ভূরি ভূরি ওষুধ দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সবার আগে তিনি বলেছেন ওজন কমাতে। মৈনাকের ওজন ৮০ কেজির কাছাকাছি। পুষ্টিবিদের কাছে গিয়ে ডায়েট চার্ট বানিয়ে এনেছেন বটে, তবে ডায়েটের শুরুর দিকে পরিমিত খাবার খেয়ে মৈনাকের খিদে মিটছে না। মনের মধ্যে সারা ক্ষণ খাই খাই ভাব। কাজে মন দিতে পারছেন না খিদের ঠেলায়! এমন সমস্যা ডায়েট করার শুরুতে অনেকেরই হয়।
অনেকেই ভাবেন, পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। এমনটা কিন্তু নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। খিদে পেলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকাই।
ডায়েট করার সময় খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ছবি: সংগৃহীত
ডায়েটের সময়ে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী ভাবে?
১) খিদে পেলেই বেশি করে জল খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে অনেকটাই কমে। জল খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়। বাইরে রেরোলে সঙ্গে ডিটক্স ওয়াটার রাখতে পারেন। বারে বারে লেবু, পুদিনা, শসা, তরমুজ মেশানো জলে চুমুক দিতে থাকুন, খিদে কম পাবে।
২) খিদের সমস্যা দূর করার জন্য ডায়েটে বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরতি থাকে। খিদে কম পায়। ওটমিল, বার্লি, ফল ও শাক-সব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। খেতে পারেন মটর, শিম, রাজমা ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।
৩) প্রোটিনও খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় খাদ্যতালিকায় চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়েটে বেশি করে চিকেন, ডিম, পনির এবং মাছ রাখুন।
৪) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ রকম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হোন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না। ডায়েটের সময় খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না, অল্প অল্প করে খাবার বারে বারে খান।
৫) খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়।