মুখের ঘা, ক্ষত সারবে ঘরোয়া টোটকায়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমে ভেবেছিলেন ঠোঁট ফাটছে।
প্রতি বার শীতের হাওয়া বইতে শুরু করলেই প্রথমেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। স্নান করার পর চামড়ায় টান ধরে। কিন্তু ঠোঁটের কোনা থেকে তা যখন মুখগহ্বরের ভিতরেও ছড়াতে শুরু করল তখন বোঝা গেল, আসলে এটি এক ধরনের ঘা। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে এই ক্ষত আরও গাঢ় হয়েছে মাত্র। কিছু খেতে গেলে বা হাসতে গেলেও চামড়ায় টান পড়ছে। মুখের ভিতরে টক-ঝাল-নুন, যে কোনও প্রকার মশলা লাগলেই জ্বালা করছে। তবে এই ধরনের সমস্যা থেকে কিন্তু ঘরোয়া টোটকাতেও রেহাই পাওয়া যায়।
কোন কোন উপাদান মুখের ঘা সারাতে কাজে লাগে?
১) নারকেলের দুধ:
‘ফাইটোথেরাপি রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নারকেল দুধে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় প্রদাহজনিত সমস্যা কমে। ক্ষতস্থানে প্রলেপ দেওয়ার জন্য দ্রুত নতুন কোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে এটি।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
মিক্সিতে নারকেল পিষে নিন। তার পর ছেঁকে নিয়ে দুধ বার করে নিন। এ বার ক্ষতস্থানে নারকেল দুধের প্রলেপ দিয়ে রাখুন অন্ততপক্ষে মিনিট দুয়েক। মুখের ভিতরে ঘা হলে ওই তরল দিয়ে দিনে দু’বার কুলকুচি করুন।
২) যষ্টিমধু:
যষ্টিমধুর মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে। তাই মুখগহ্বরের এই ধরনের ক্ষত সারাতে এই ভেষজটিও গুরুত্বপূর্ণ। ‘ইরানিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মুখের ভিতরের ঘা, ক্ষতের জ্বালা-যন্ত্রণা, কষ্ট কমাতে সাহায্য করে যষ্টিমধু।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
ছোট একটি পাত্রে এক চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো জল দিয়ে মিশিয়ে নিন। ক্ষতস্থানে মেখে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সপ্তাহখানেক দিনে দু’বার এই টোটকা করে দেখুন। ঘা শুকিয়ে যাবে।
৩) মধু, হলুদ:
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ হলুদ। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও। এই দু’টি উপাদান একসঙ্গে মিশলে দারুণ একটি টোটকা তৈরি হয়। যা মুখের ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
ছোট একটি পাত্রে এক চিমটে হলুদ এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ক্ষতস্থানে ওই প্রলেপ মাখিয়ে রেখে দিন মিনিট পনেরো। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।