সন্তানের পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা কী ভাবে টের পাবেন আপনি? ছবি: প্রতীকী
শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সুষম পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি। আর পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করা। রোজ নিয়ম করে তাকে দিতে হবে পুষ্টিকর নানা খাদ্য। তবেই ভিটামিন, খনিজ পদার্থ কিংবা প্রোটিনের মতো বিভিন্ন জরুরি উপাদান যাবে তার শরীরে। রোজকার খাবার সব সময়ে যথেষ্ট না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আনুষঙ্গিক কিছু সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানোর দরকার হতে পারে। কিন্তু সন্তানের পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা কী ভাবে টের পাবেন আপনি?
১) ওজন
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলছে,, পুষ্টির ঘাটতির একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ওজনের আচমকা ওঠানামা। যদি শিশুর ওজন ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমে যায়, তবে অবিলম্বে সতর্ক হতে হবে।
২) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
সন্তান যদি কথায় কথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে তা-ও অপুষ্টির লক্ষণ হতে পারে। যে হেতু মূলত খাদ্যের মাধ্যমেই দেহে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ প্রবেশ করে, তাই পুষ্টি কম পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বার বার অসুস্থ হতে থাকে শিশু।
সন্তানের খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন। ছবি: প্রতীকী
৩) দাঁতের সমস্যা
খুদেরা এমনিতেই চকোলেট বেশি খায়। ফলে দাঁতের সমস্যাও বেশি হয়। কিন্তু দাঁতের সমস্যা কখনও কখনও পুষ্টির অভাবের লক্ষণও হতে পারে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ভিটামিন সি-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। আর দাঁতের সমস্যা বেড়ে যায় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে।
৪) ক্লান্তি
স্কুল থেকে ফিরে আর খেলতে যেতে চায় না সন্তান? সব সময়ে ক্লান্তও থাকে? যদি দেখেন অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চা , তবে তার খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন। খেলা থেকে পড়া, সব কিছুতেই অনীহা দেখা দিতে পারে পুষ্টির ঘাটতি হলে। অপুষ্টির প্রভাব পড়ে শিশুর মনের উপরও।
৫) পুষ্টির অভাব হলে মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হতে পারে। ফলে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশেও সমস্যা হয়। নতুন কিছু শিখতে অনেক সময় লাগে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে। খেলা বা পড়া শিখতে যদি সময় লাগে, তবে শিশুর খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে মনে রাখবেন, উপরের লক্ষণগুলি কেবল পুষ্টির অভাব নয়, আরও অনেক ধরনের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সন্তানের মধ্যে দেখতে পেলে খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন। পাশাপাশি, প্রয়োজনে পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও।