ফিট হতে গিয়ে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
মোটা হলেই শরীরে বাসা বাঁধে হাজারটা অসুখ। তাই চিকিৎসকরা বার বার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরমার্শ দেন। তাই ইদানীং ভুঁড়ি বাড়লেই সচেতন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জিমে গিয়ে। চটজলদি ওজন ঝরাতে ভারী ওজন নিয়ে দেদার চলছে শরীরচর্চা। পুজোর আগে তরুণদের মধ্যে শাহরুখ খান, হৃতিক রোশনের মতো ‘সিক্স প্যাক’ বানানোর হিড়িক ওঠে প্রতি বারই। শরীর বানানোর তাগিদে পাড়ার জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো, ফিটনেসবিদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়িমুড়কির মতো সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু শরীরের উপর বাড়তি চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়।
সারা দিন অতিরিক্ত ধকলের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে জিমে না যাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
ফিটনেসবিদেরাও কিন্তু সপ্তাহে পাঁচ-ছ’দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া, শরীরে কিছু অস্বস্তি থাকলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন, কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১) অফিসের কাজের চাপে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আর সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ছেন? দিনের পর দিন ঘুম কম হলে শরীরে এমনিতেই ক্লান্তি আসে। সারা দিন অতিরিক্ত ধকলের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে জিমে না যাওয়াই ভাল।
২) অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শরীরচর্চার করলে ঋতুচক্রের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ঋতুস্রাব না হলে জিমে যাওয়া কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দেখতে পারেন।
৩) প্রথম ক’দিন জিমে গেলে কিংবা দীর্ঘ দিন পর জিমে গেলে পেশিতে ব্যথা হতে পারে। তবে নিয়মিত জিম করার পর হঠাৎ কোনও দিন পেশিতে ব্যথা হলে একটু সতর্ক হোন। তখন না যাওয়াই শ্রেয়। বড় কোনও চোট আঘাত লাগলেও জিম থেকে কয়েক দিনের বিরতি নেওয়াই ভাল। এ ছাড়া, পেটে ব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগলে জিম এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। পেটখারাপ কিংবা ডায়েরিয়া হলে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়, তাই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এ সময়েও জিম এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪) আগের রাতে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে পরের দিন সকালে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, মাথা ঝিমঝিম করে, এই পরিস্থিতি হলে সেই দিনটা জিম থেকে ছুটি নিয়ে নিন। চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
৫) বুকে ব্যথা, হাতে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখলে সেই দিন জিমে যাবেন না। এ ছাড়া, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, মাথা ভার হয়ে আছে, হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে— এমন সমস্যা হলেই সতর্ক হোন। সেই দিন ভুলেও জিমে যাবেন না।