অল্পবয়সিদের চোখেও হানা দিতে পারে ছানির সমস্যা। ছবি: শাটারস্টক।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় বদল আসে। চুলে পাক ধরে, ত্বক শিথিল হয়ে যায়। শরীরের অন্দরের ক্রিয়াকলাপ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে। সেই সঙ্গে চোখের লেন্সও ঝাপসা হয়ে আসে। দৃষ্টি কমতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ছানির কারণে প্রতি বছর ৩.৮ লক্ষ মানুষ দৃষ্টিহীন হয়ে যান। তাই ছানি হলে চিকিৎসা করানো জরুরি। চিকিৎসকেরাও সেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছানির সমস্যা দেখা যায় ৬০ উত্তীর্ণদের মধ্যে। ইদানীং অবশ্য কম বয়সেও ছানির কারণে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখ।
অল্প বয়সে চোখে ছানি পড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বংশগত কারণ তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে ছানি পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া কম বয়সে চোখে ছানি পড়তে পারে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’-এর কারণেও। এটা এক ধরনের অ্যালার্জি। চোখের পেশির কার্যক্ষমতা কমে গেলেও দেখা দিতে পারে ছানির সমস্যা। ‘মায়োপিয়া’ অর্থাৎ কারও চোখে যদি মাইনাস পাওয়ার থাকে, সে ক্ষেত্রেও ছানি পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
তা হলে কি এই সব অসুখ থাকলে ছানি প্রতিরোধ করার জন্যে ব্যবস্থা নিতে হবে?
ছানি আটকে দেওয়া বা প্রতিরোধ করা মুশকিল। তবে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো উচিত, বিশেষ করে যাঁদের উপরিউক্ত সমস্যা আছে তাঁদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। এক পাশাপাশি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রোদ্দুরে বেরোলে ইউভি প্রতিরোধী রোদচশমার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অন্যান্য অসুখ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ছানির উপসর্গ দেখলে অবশ্যই চোখ পরীক্ষা করান জরুরি।
কী কী উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে?
ছানি পড়ার শুরুতে খুব যে উল্লেখযোগ্য কোনও উপসর্গ থাকে তা নয়। চারদিকের সব কিছু নিষ্প্রভ লাগে, অর্থাৎ আলোর উজ্জ্বলতা কমে যায়। কন্ট্রাস্ট ভিশন কমে যায়, সাদা জিনিস ধূসর লাগে। অল্প আলোয় দেখতে খুব অসুবিধা হয়। ক্রমশ কাছের জিনিস দেখতে ও লেখা পড়তে অসুবিধা হয়, চশমার পাওয়ার বদলেও কোনও লাভ হয় না। রাত্তিরে গাড়ির জোরালো আলো চোখে পড়লে খুব কষ্ট হয়। ছানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখার সমস্যা আরও বেড়ে যায়।