প্রোটিনের ঘাটতি কী কী সমস্যা ডেকে আনে শরীরে? ছবি: সংগৃহীত।
কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে শরীর সব ধরনের জরুরি উপাদান পাচ্ছে কি না। যেমন খাদ্যাভ্যাসের গোলমালের কারণে অনেক সময়েই শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা যায়। তবে সহজে তা বোঝা যায় না। ঘাটতির মাত্রা বাড়তে থাকলে তখন নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। সমস্যা বাড়ে সে সময়ে। কারও কর্মশক্তি কমে যায়। কারও বা বিপাকহার দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদনে সমস্যা হয়। কিন্তু এই অবস্থায় পৌঁছনোর আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
প্রোটিনের ঘাটতি বড় কোনও সমস্যা ডেকে আনতে না পারে শরীরে। তাই শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখুন। কয়েকটি লক্ষণ খেয়াল করলেই তা বোঝা সম্ভব।
সর্ব ক্ষণ খিদে খিদে ভাব: প্রোটিন জাতীয় খাবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রোটিন শরীরে না গেলে খিদে পাওয়াটা স্বাভাবিক। ঘন ঘন খিদে পাওয়া শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা : ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের অভাব রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ডাল, রাজমা, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোজের ডায়েটে রাখা উচিত।
চুল ঝরা: শুধু শরীর সুস্থ রাখতেই নয়, সৌন্দর্য ধরে রাখতেও প্রোটিন প্রয়োজন। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এমনকি চুল পড়ার সমস্যার পিছনেও থাকতে পারে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব।
ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া: প্রোটিন ত্বকের যে কোনও ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। তবে অনেক দিন ধরে কোনও ক্ষত যদি না শুকোয় সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব রয়েছে।
ক্লান্তি ভাব: প্রোটিন শরীর চনমনে রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিনের ঘাটতি শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব এনে দেয়। তাই সারা রাত ভাল ঘুম হওয়ার পরেও যদি কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি আসে তা হলে বুঝতে হবে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে শরীরে।