হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব বেশি আদা খাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত
আদা খাওয়া উপকারী হলেও কিছু কিছু সময়ে অত্যন্ত উপকারী এই খাবারই হয়ে উঠতে পারে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আমরা না জেনেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেচ্ছ আদা ব্যবহার করি। অতিরিক্ত যে কোনও জিনিসই খারাপ, আদাও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশ কিছু রোগ থাকলেও আদা এড়িয়ে চলা উচিত। তাই খুব বেশি আদা খাওয়ার আগে একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি আদা খেলে তা পেশির সংকোচন ঘটিয়ে ‘প্রিটার্ম লেবর’-এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে শেষ ত্রৈমাসিকে আদা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্সকরা। শুরুর দিকে ‘মর্নিং সিকনেস’ কাটানোর জন্য অল্প আদা খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে।
২) হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব বেশি আদা খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত আদা খেলে হৃদ্স্পন্দনের হার বেড়ে যায়। আদা খুব বেশি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ কমে য়েতে পারে। সে ক্ষেত্রেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩) আদা রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে দেয়। হিমোফিলিয়ার সমস্যা থাকলে আদার এই গুণ আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। হিমোফিলিয়া বংশগত ডিজঅর্ডার। এই রোগে এক বিশেষ প্রকার প্রোটিনের অনুপস্থিতিতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ছোটখাট কাটাছেঁড়া থেকে অনেক বেশি রক্তপাত, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হিমোফিলিয়ার ওষুধ খাচ্ছেন এমন রোগীরা যদি খুব বেশি আদা খান, তা হলে ওষুধের প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
প্রতীকী ছবি
৪) ডায়াবিটিসের ওষুধ খেলে খুব বেশি আদা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। আদা রক্তকে পাতলা করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই সাধারণ ভাবে আদা খাওয়া উপকারী হলেও ইনসুলিনের মতো ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে আদা।
৫) অনেকেই আছেন যাঁদের ওজন অতিরিক্ত কম। তাঁদের ক্ষেত্রেও বেশি আদা না খাওয়াই ভাল। আদা খিদে কমিয়ে ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। প্রতি দিন আদা খেলে মেদ ঝরে। তাই ওজন বাড়ানোর পরিকল্পনা করলে খুব বেশি আদা খাবেন না।
৬) খুব বেশি আদা খেলে চুল পড়া ও অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পেটের গোলমাল ও বদহজমের সমস্যাও হতে পারে।