অনেকেই মনে করেন, আম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকাল মানেই আমের মরসুম। ফলের রাজা আম খেতে ভাল তো লাগেই। পাশাপাশি, এই ফলের বেশ কিছু পুষ্টিগুণও রয়েছে। বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আম, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, আম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই ভয়ে ডায়াবিটিস রোগীরা ইচ্ছা থাকলেও আম খাওয়ার থেকে বিরত থাকেন। পুষ্টিবিদদের মতে, আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই পরিমিত পরিমাণে আম খেলে ডায়াবিটিস রোগীদের তেমন কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে কখন, কী ভাবে আম খেলে রক্তে শর্করার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না, তা জানতে হবে।
কী ভাবে আম খেলে রক্তে শর্করা বাড়বে না?
১) স্মুদি
দইয়ের সঙ্গে স্মুদি বানিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় কোনও প্রভাব পড়বে না।
২) স্ন্যাক্স হিসাবে
জলখাবার এবং দুপুরের খাবারের মাঝে যদি খিদে পায়, খেতে পারেন আম। সন্ধ্যার সময়েও খাওয়া যায়। তবে ভাল লাগছে বলেই অতিরিক্ত পরিমাণ আম খেয়ে ফেলা যাবে না। খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
৩) প্রোটিনের সঙ্গে
শরীরচর্চা করার পর প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা। সেই সময়ে কৃত্রিম কোনও প্রোটিন পাউডার না খেয়ে আমের সঙ্গে কাঠবাদাম এবং দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।
জলখাবার এবং দুপুরের খাবারের মাঝে যদি খিদে পায়, খেতে পারেন আম। ছবি: সংগৃহীত।
৪) প্রক্রিয়াজাত আম খাওয়া যাবে না
আমের মরসুম চলে যাওয়ার পরও আম খাওয়ার ইচ্ছা হলে অনেকেই প্রক্রিয়াজাত আমের উপর ভরসা করেন। পুষ্টিবিদদের মতে, এই জাতীয় খাবারে কৃত্রিম চিনি থাকে। তাই সেগুলি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
৫) খাবারের সঙ্গে খাওয়া যাবে না
সকালে বা রাতে খাওয়ার শেষপাতে আম খাওয়ার অভ্যাস? এই অভ্যাসের ফলে নিজের অজান্তেই কিন্তু বেড়ে চলেছে রক্তে শর্করার মাত্রা।