মেজাজ ভাল করতে সুগন্ধি মোমবাতির জবাব নেই! ছবি: শাটারস্টক।
লোডশেডিং হলেই খোঁজ পড়ে মোমবাতির। এ ছাড়া প্রয়োজন বলতে কালীপুজো বা অন্য পুজোয়। কিন্তু তার বাইরে মোমবাতির কথা কে মনে রাখেন? অনেকের আবার শখ থাকে মোমাবাতির রোশনাইয়ে ঘরবাড়ি সাজনোর। বাজারে ঘর সাজানোর জন্য সুগন্ধি মোমবাতির ছড়াছড়ি!
এখন বাজারে অনেক ধরনের সুগন্ধি মোমবাতি কিনতে পাওয়া যায়। মন চাইলে মোমবাতি দিয়েই সাজিয়ে ফেলুন আপনার গৃহকোণ। কেবল মনমেজাজ ভাল করতেই নয়, সুগন্ধি মোমবাতির কিন্তু স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে!
ঘরে সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য কেন উপকারী?
ক্লান্তি দূর করে
দিনের শেষে কাজ সেরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন? এই সময় একটু আরাম পেতে বাড়ির মধ্যেই তৈরি করুন অন্য রকম পরিবেশ। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। এতে সারা দিনের কাজের ধকল, শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে।
চোখের আরাম
সব সময় স্মার্টফোনের পর্দা আর বড় আলো— এই দুই-ই চোখকে আরাম পেতে দেয় না। ঘরের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি মোমবাতি চোখকে আরাম দেয়। রোজ কিছু ক্ষণ মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন।
উদ্বেগ কাটাতে বাড়ি ফিরে ঘরে কয়েকটি সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে
অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। অগত্যা রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটা, আর না হয় ওয়েব সিরিজ় দেখা। এতে আরও ঘুমের বারোটা বাজে। ঘুমোনোর আগে ঘর অন্ধকার করে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। মোমের আলোর স্নিগ্ধতায় ও সুগন্ধে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, ক্লান্তি কাটিয়ে ঘুম ঘুম ভাব আসে। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে এই টোটকা ব্যবহার করতে পারেন।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে সুগন্ধি মোম। ঘরে সুগন্ধি মোম নিয়মিত জ্বালিয়ে রাখলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। মূলত মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ার কারণেই এমনটা হয়।
উদ্বেগ কমায়
অফিসারের চাপ, কর্মব্যস্ততা বাড়িতেও যেন পিছু ছাড়ে না। তার উপর সংসার খরচের চিন্তা, বাড়ির চিন্তা— সব মিলিয়ে মনের মধ্যে সারা ক্ষণ কাজ করতে থাকে উদ্বেগ! এই উদ্বেগ কাটাতে বাড়ি ফিরে ঘরে কয়েকটি সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখুন। উদ্বেগ কাটাতে এই টোটকার জবাব নেই।