অনেক দিন পর ঋতুস্রাব হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
মূলত ২৮ থেকে ৩০ দিন পর পর মহিলাদের ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। কারও ক্ষেত্রে সেই সময়টা বেড়ে ৩০-৩৫ দিনও হতে পারে। এই সময়টি দীর্ঘ হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে ধরা হয়। ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মাথায় ঋতুস্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সেটা বেড়ে ৫৫-৬০ দিনের মাথায় হচ্ছে। অনেক দিন পর ঋতুস্রাব হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। রক্তক্ষয় পরিমাণে বেশি হয়। এমনকি, ৭ দিন পর্যন্তও রক্তক্ষয় হতে পারে। তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, পেশির টান, বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে দেখা যায়।
কিন্তু এই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণগুলি কী ?
পিসিওস
শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মূলত মহিলারা পিসিওস অর্থাৎ ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম’-এর শিকার হন। পিসিওসের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় থেকে পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন নির্গত হয় প্রচুর পরিমাণে। ফলে ডিম্বাশয়ের ধার ঘেঁষে সিস্ট জন্ম নেয়। অনিয়মিত ঋতুচক্রের অন্যতম কারণ পিসিওস।
মানসিক চাপ
দীর্ঘস্থায়ী কোনও মানসিক চাপ ঋতুচক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ কর্টিসল হরমোন ক্ষরণ বেশি সক্রিয় করে তোলে। এই হরমোনের কারণে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যায়াম করলে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা ঋতুস্রাবে প্রভাব ফেলে।
স্থূলতা
মাত্রাতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। শুধু অনিয়মিত ঋতুস্রাবই নয়, স্থূলতা আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে ওজন কমানো উচিত।
অনিদ্রা
ব্যস্ততম জীবনে অনিদ্রা একটি বড় সমস্যা। সুস্থ থাকতে রোজ অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। ঘুম না আসার কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল অনিয়মিত ঋতুস্রাব। দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে তার প্রভাব পড়ে ঋতুস্রাবে।
অনেক দিন ধরে ঋতুস্রাবের অনিয়ম চলতে থাকলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।