— প্রতীকী চিত্র।
রাত জেগে ‘মেড ইন হেভেন ২’-এর গোটা সিজ়নটাই দেখা শেষ করেছেন। পরের দিন সকালে কাজ আছে জেনেও মাঝপথে সিরিজ় দেখা ছাড়তে পারেননি। ফলত সকালে ঘুম থেকে উঠে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। না ঘুমিয়ে একটানা সিরিজ় দেখে গা গুলোচ্ছে, মাথা ঝিমঝিম করছে। চোখ এবং মাথাতেও চাপ পড়েছে। ঘুম থেকে ওঠার পর উষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস। কিন্তু সে সব কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা ‘মর্নিং সিকনেস’ নামে পরিচিত। সাধারণত মহিলারা সন্তানধারণ করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তবে অন্তঃসত্ত্বা না হলেও শারীরিক কিছু ঘাটতির কারণে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথায় অতিরিক্ত চাপ পড়লে গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রই বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। তখন শরীরে এমন সমস্যা দেখা দেয়।
১) অপর্যাপ্ত ঘুম
খুব সকালে বিমান ধরার তাড়া থাকলেও আগের রাতে ঘুম হয় না অনেকের। ঘুম কম হলে পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ পড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে খাবার হজম না হওয়া, বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
২) শর্করার মাত্রা কম
খিদে পাচ্ছে, অথচ কাজের চাপে অনেক ক্ষণ ধরে কিছু খেতে পারছেন না। এমন সময় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে কোনও কাজেই এনার্জি পাওয়া যায় না। মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
৩) অ্যাসিড রিফ্লাক্স
খাবার ভাল করে হজম না হলে অনেক সময়েই গলা-বুক জ্বালার মতো অস্বস্তি হতে দেখা যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স হলে পাকস্থলীতে থাকা উৎসেচকগুলি খাদ্যনালি দিয়ে উপরের দিকে উঠে আসতে শুরু করে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর বমি ভাব দেখা দিতেই পারে।
৪) ডিহাইড্রেশন
রাতে খাবার খাওয়ার পর জল খেতে ভুলে গিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর বমি ভাব দেখা দিতে পারে। মাথা ঘুরতে পারে। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, ক্লান্তি এবং মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৫) উদ্বেগ
ঘুমের মধ্যেও অফিসের উদ্বেগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কাজে যেতে হবে ভাবলেই দরদর করে ঘাম হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অন্ত্রের সঙ্গে স্নায়ুর এবং মস্তিষ্কের যোগ রয়েছে। তাই মাথায় কোনও ভাবে চাপ পড়লে পেটের সমস্যা হতে পারে।