ধূমপায়ীরা কী ভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে। অল্প বয়সেও দাঁতের সমস্যায় নাজেহাল হন অনেকে। রোজের কিছু বদোভ্যাসের কারণে অজান্তেই ক্ষতি হয় দাঁতের। আর তার উপর আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তা হলে তো কথাই নেই। ধূমপানের অভ্যাস দাঁতের বারোটা বাজায়। ধূমপায়ীরা সতর্ক না হলে কিন্তু অল্প বয়সেই দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে। ধূমপায়ীরা দাঁতের যত্ন নিতে কী কী করবেন?
১) ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজলেও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত মাজতে অনেকেই ভুলে যান। অনেকের আবার আলস্য আসে। দাঁত ভাল রাখতে হলে দু’বেলা দাঁত মাজতেই হবে। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে না চললেই নয়।
২) দোকানে গেলেই হরেক নামের হরেক উপকরণ দিয়ে তৈরি টুথপেস্টের ছড়াছড়ি। টিভি খুললেই মাজনের বিজ্ঞাপনগুলির বেশ রমরমা চোখে পড়ে। তবে টুথপেস্ট বাছাই করার সময়ে তাতে ফ্লুরাইড আছে কিনা যাচাই করে নিন। দাঁত পরিষ্কার রাখতে এই যৌগটির জুড়ি নেই।
৩) কেবল ব্রাশ করলেই হবে না, চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দু’বার কোনও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হবে না আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও ধ্বংস হবে। ধূমপানে অভ্যস্ত হলে এই অভ্যাস শুরু করুন।
ধূমপায়ীরা সতর্ক না হলে কিন্তু অল্প বয়সেই দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে।
৪) প্রত্যেককেই নিয়ম করে বছরে দু’বার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীরা আরও বেশি বার গেলে ভাল। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি। দাঁত ভাল রাখতে তাই বছরে অন্তত দু’বার স্কেলিং করানো জরুরি।
৫) খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে চেষ্টা করবেন যাতে জল দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। ধূমপান করার পরেও এমনটাই করা উচিত। নইলে নিকোটিনের স্তর দাঁতের উপর জমতে সময় লাগে না।