হাত-পায়ের পেশিতে এমন টান যে বিছানা থেকে নামাই দুষ্কর? ছবি: শাটারস্টক।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নামার সময়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হন? হাত-পায়ের পেশিতে এমন টান ধরে যে, বিছানা থেকে নামাই দুষ্কর? কখনও আবার হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করলেও কোমরের পেশিতেও টান ধরে। এই টান ধরার নেপথ্যে কিন্তু রয়েছে শরীরে জলের ঘাটতি।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে যাওয়া, কখনও টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণেও পেশিতে টান ধরে। এ ছাড়া, গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায় বলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই ঘাটতি পড়ে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়। শীতে আবার জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অনেকে। এতেও শিরায় টান ধরা বা ক্রাম্পের প্রবণতা বাড়ে। পেশির কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত জলের ঘাটতি কমাতে পারলেই আরাম মেলে। পেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কোন উপায়ে রেহাই পাবেন, রইল তার হদিস।
১) হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে সেই স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে গরম তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন। এমন ভাবে মালিশ করতে হবে, যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
২) পায়ে ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে মালিশের পর জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই ভাল।
শীতে আবার জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অনেকে, এতেও শিরায় টান ধরা বা ক্রাম্পের প্রবণতা বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক
৩) হট ব্যাগ টানধরা জায়গায় রাখুন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। ফের দশ সেকেন্ড পর হট ব্যাগ। এই ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক চালিয়ে যান আরাম না মেলা অবধি।
৪) হলুদ গুঁড়ো ও ফটকিরি একসঙ্গে বেটে নিয়ে সেই স্থানে টান লেগেছে সেখানে লাগিয়ে নিতে পারেন। মালিশ করার প্রয়োজন নেই। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
৫) এক বোতল জলে খানিকটা নুন গুলে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পেশি নমনীয় হবে, অস্বস্তি কমবে।