সদ্য জিমে ভর্তি হলে কোন ৫ ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি: শাটারস্টক।
ভুঁড়ি কমাতে এক মাস নিয়ম করে রোজ জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, ভাল মতো পরিশ্রমও করছেন। অথচ মাসখানেক হয়ে গেলেও ওজনে কোনও রকম হেরফের চোখে পড়ছে না। যে কে সেই! বেশি দিন এমনটা চলতে থাকলে একসময়ে শরীরচর্চা থেকেই আপনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। রোজ ঠিক মতো নিয়ম মেনেই শরীরচর্চা করছেন, তা হলে এমন হচ্ছে কেন, প্রশ্ন আসতেই পারে মনে। এ ক্ষেত্রে কোথায় গলদ থাকছে বুঝবেন কী করে? রোজের জীবনে অজান্তে এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম করেও কোনও লাভ হয় না! জেনে নিন, সদ্য জিমে যাওয়া শুরু করলে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
১) প্রথম প্রথম জিমে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করলে কিন্তু চোট-আঘাতের ঝুঁকি বেশি। এই ঝুঁকি কমাতে রোজ ভারী শরীরচর্চা শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপটা অবশ্যই করতে হবে। হাতে সময় কম থাকলেও কিন্তু এই কাজটি ভুললে চলবে না। রোজের নিয়মের মধ্যে এই অভ্যাসটি বেঁধে ফেলুন।
২) জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে গিয়ে বড় করে বিপদের ঝুঁকি এড়াতে দু’টি এক্সারসাইজ় সেটের মাঝে পর্যাপ্ত বিরতি নেওয়া জরুরি।
৩) নতুন জিমে ভর্তি হলে প্রথম দু’-তিন মাস এক জন নিজস্ব ট্রেনারের অধীনে ট্রেনিং নেওয়া দরকার। আপনার শরীর অনুযায়ী কোন কোন শরীরচর্চা উপযোগী, সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন। শরীরচর্চার সময়ে ভঙ্গি ঠিক না হলে লাভের লাভ কিছুই হয় না। তাই ট্রেনারের কাছ সঠিক ভঙ্গি জানা জরুরি।
৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে পেশির শক্তি ও শারীরিক শক্তি ফেরানোর জন্য প্রোটিন খাওয়া দরকার। পুষ্টিবিদরাও ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে প্রোটিনের উপরে বেশি জোর দেন। তবে প্রোটিনও খেতে হবে পরিমাণ মতো। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে ফেললে ওজন কমানোয় সমস্যা হবেই। ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১.২ গ্রাম থেকে ১.৬ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট শুরু করুন। জিম করলেই যে আপনি রোগা হয়ে যাবেন এমনটা নয়, ডায়েটেও নজর রাখতে হবে।
৫) সপ্তাহে তিন দিন জিমে গিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে নিলেন, আর বাকি দিনগুলি ঘরে বসেই কাটিয়ে দিলেন, এমনটা করলে কিন্তু চলবে না। ওজন ঝরাতে চাইলে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। প্রতি দিন যে শরীরচর্চাটাই করবেন, সেটা ৩০-৪০ মিনিট টানা করা উচিত। কোনও দিন কম, কোনও দিন বেশি করলে ফল পাওয়া যায় না।