কোন ৫ অভ্যাস মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়? ছবি: শাটারস্টক।
রোদে বেরোলেই প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর— মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে এই উপসর্গগুলি বেশ পরিচিত। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস অজান্তেই এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে কোন কাজ ভুলেও করা উচিত নয়?
জল কম খাওয়া: শরীরে জলের ঘাটতি হলেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়ে। আপনি সারা দিনে পরিমাণ মতো জল খান তো? দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল না খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা পারে।
চিনি বেশি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার না খাওয়াই ভাল। খাদ্যতালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন, ততই ভাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কেবল মিষ্টি নয়, প্যাকেটজাত খাবার, রোজের রান্নায় চিনির ব্যবহার কমাতে হবে।
জোরালো আলোয় অনেকেরই মাথা দপদপ করে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুমের অনিয়ম: ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে হবে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা কিন্তু ঘুমোতেই হবে। এক দিন কম ঘুমোলেন, কোনও এক দিন বেশি ঘুমোলেন, এমন না করে ঘুমের সময় সমান রাখার চেষ্টা করুন।
চড়া আলোয় থাকা: জোরালো আলোয় অনেকেরই মাথা দপদপ করে। এমনটা যদি আপনার হয়, তা হলে কিছু ক্ষণ আলো নিভিয়ে বা অন্ধকার কোনও জায়গায় গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।
মরসুম বদল: কখনও চড়া রোদ, কখনও আবার বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া— দু’টিই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। মরসুম বদলের সময় নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকুন, যোগাসন করতে পারেন। ব্যায়াম করলে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শীতের দিনে গরম পোশাক আর গরমে ছাতা ও রোদচশমার ব্যবহার করতেই হবে।
খালি পেটে থাকা: অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। গ্যাসের সমস্যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই কাজের মাঝেও সময় বার করে খেতে হবে। একসঙ্গে অনেকটা খাবার না খেয়ে মাঝেমধ্যেই অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।