কোন লক্ষণগুলি দেখলেই স্তন ক্যানসারের ব্যাপারে সতর্ক হবেন? ছবি: শাটারস্টক।
স্তন ক্যানসার। ৩০ পেরোনো ভারতীয় মহিলাদের এর থেকে বড় ভয় সম্ভবত আর কিছু নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। তাঁদের মতে ‘সেল্ফ ডিটেকশন’-এর কোনও বিকল্প নেই এ ক্ষেত্রে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ক্রমশই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, এ দেশে ইদানীং স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ দেশে ৩০-৫০ বছর বয়সিরা এই অসুখের শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। বয়স ২৫ পেরোলেই, অস্বস্তি থাক বা না থাক, চিকিৎসকদের কাছে এসে বছরে এক বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। মনে রাখবেন, স্তনের সব লাম্প বা টিউমারই কিন্তু ক্যানসার নয়। বরং ১০-১৫ শতাংশ টিউমারের ক্ষেত্রে এই ভয় থাকে। তবে তার চিকিৎসা দ্রুত শুরু হওয়া দরকার। কী ভাবে বুঝবেন, এমন ঘোরতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে কি না? স্তনে তৈরি হওয়া মাংসের পিণ্ড সব সময় চামড়ার আড়ালেই থাকে। এ ছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের মাংসের দলা থাকলে তা এড়িয়ে যাবেন না। মাংসপিণ্ডগুলি টিপলে যদি শক্ত লাগে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। তবে এ ছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি অবহেলা করলেই বিপদ।
১) স্তন থেকে অকারণে তরলের ক্ষরণ হলে সতর্ক হতে হবে। এটি কিন্তু স্তন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
২) স্তনে কোনও রকম র্যাশ কিংবা চুলকানির মতো অস্বস্তি হচ্ছে কি? এমন হলে কিন্তু ফেলে রাখা ঠিক হবে না। স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে এগুলি।
৩) কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও কিন্তু স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কোনও কারণ ছাড়াই কাঁধে ব্যথা হলে নিজের মতো ব্যথা উপশমের পথ না খুঁজে, চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।
৪) স্তনের আকার বদলে যাওয়াও স্তন ক্যানসারের অন্যতম ইঙ্গিত। স্তনের আকার বিকৃত হলে কখনও ফেলে রাখবেন না।
৫) অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো কোনও অনুভূতি হয় কিংবা উপুড় হয়ে শুলে যদি ব্যথা লাগে, তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। স্তনে কোনও রকম সাড় পাওয়া না গেলেও সতর্ক থাকুন।