কোন কোন অভ্যাসের ফলে পুরুষরা নিজেদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারেন না? ছবি- সংগৃহীত
অনেক পুরুষই মনে করেন পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গেলে দিনে এক বার, নিদেন পক্ষে দু’বার স্নান করলেই হবে। কিন্তু গরমে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেই পোশাক পরে দীর্ঘ ক্ষণ থাকার ফলে সেখান থেকে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। আবার এমন পুরুষ আছেন, যাঁরা নিয়মিত স্নান করলেও গোপনাঙ্গ সঠিক ভাবে পরিষ্কার করেন না। যার ফলে নিজেদের অজান্তেই সমস্যা বাড়িয়ে ফেলেন। আর কোন কোন অভ্যাসের ফলে পুরুষরা নিজেদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারেন না?
১) অন্তর্বাস পরে ঘুমোনো
সারা দিন পর বাড়ি ফিরে পোশাক না খুলেই বিছানায় গা ভাসিয়ে দেন অনেকে। এই অভ্যাসের ফলে ত্বকে র্যাশ বা লালচে ভাব ছাড়াও নানা রকম সমস্যা হতে পারে। অন্য পোশাকের চেয়ে অন্তর্বাস গায়ের সঙ্গে বেশি লেগে থাকে। তাই পা, নিতম্বের ভাঁজে ঘাম জমা স্বাভাবিক। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই সুতির হালকা, ঢিলে পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
২) গোপনাঙ্গ ভাল করে না ধোয়া
দিনে দু’বার স্নানের সময় গোপনাঙ্গ ধুয়ে নিলেই পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে, এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। যত বার মল, মূত্র ত্যাগ করতে যাবেন, তত বারই জল দিয়ে ধোয়া উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। স্নানের সময়ে মাইল্ড কোনও তরল সাবান দিয়ে গোপনাঙ্গ ধুতে পারলে আরও ভাল।
৩) রোম পরিষ্কার করা
দেহের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় রোম থাকলে, সেখানে ঘাম জমে বেশি। আর ঘাম জমলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ হল বাহুমূল, গোপনাঙ্গের রোম ছেঁটে ফেলা। অনেকেই অবশ্য রেজ়ার দিয়ে রোম কেটে দেন। কিন্তু এর ফলেও ত্বকে র্যাশ, ফোড়া বা নানা রকম অস্বস্তি হতে পারে।
৪) বিছানার চাদর না পাল্টানো
দিনের পর দিন বিছানার চাদর না পাল্টানো কিন্তু পুরুষদের একটি খারাপ অভ্যাসের মধ্যে পড়ে। ঘুমের সময়ে বিছানার সঙ্গে শরীরের সরাসরি যোগ থাকে। গরমে ঘাম বেশি হয়, তাই ঘামের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস বিছানার মধ্যে রয়ে যায়। সেই বিছানা দিনের পর দিন ব্যবহার করতে থাকলে, সংক্রমণ বাড়তে পারে।
৫) জিভ পরিষ্কার না করা
বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে হুড়োহড়ি করে দাঁত মেজে নিলেন। ভাবলেন এ যাত্রায় কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু বিশেষ মুহূর্তে মুখের দুর্গন্ধ আসল কাজটিই হতে দিল না। চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু দাঁত নয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জন্য জিভের পরিচ্ছন্নতাও জরুরি।