গলাব্যথা থেকে রেহাই পাওয়ার চটজলদি উপায় কী? ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর পর থেকেই আবহাওয়া বদলের ইঙ্গিত টের পাওয়া যাচ্ছে। মরসুম বদলের এই সময়ে সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে প্রায় সব ঘরেই। ঘুম থেকে উঠে ঢোঁক গিলতে গেলেই কাঁটার মতো কী যেন গলায় বিঁধছে। বেলা বাড়লেও জল খেতে সমস্যা হচ্ছে। নুন-গরম জল গিয়ে গার্গল করছেন, তবে সঙ্গে যদি কয়েকটি টোটকা করতে পারেন, কাজ হবে আরও তাড়াতাড়ি।
কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে সারবে গলাব্যথা?
১) মধু
গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকরী মধু। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা গলা এবং শ্বাসনালিতে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে বা ভেষজ চায়ে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) রসুন
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে গলাব্যথা, সর্দিকাশি লেগেই থাকে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই রসুন খেয়ে থাকেন। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। যা সংক্রমণজনিত জ্বর, ফ্লু সারাতেও দারুণ কাজ করে।
৩) দারচিনি
দারচিনিতে রয়েছে আশ্চর্য ভেষজ গুণ। সুগন্ধি এই মশলাটির একাধিক উপকারিতা রয়েছে। সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে দারচিনির জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া গলাব্যথাতেও দুর্দান্ত কাজ দেয় এই মশলা। বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে দারচিনি। রোজকার চায়ে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেলে অল্প দিনেই উপকার পাবেন।
৪) হলুদ
হলুদের জীবাণুরোধক ক্ষমতা অপরিসীম। টিস্যুর প্রদাহ থেকে রক্ষা করে হলুদ। তাই গলার ব্যথা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে হলুদ ব্যবহার করে থাকেন। কী ভাবে খাবেন হলুদ? এক কাপ দুধে সামান্য হলুদ মেশান। তার পর সেই দুধ ফুটিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম গরম খান। এই হলুদ মেশানো দুধ যে কোনও সংক্রমণ বা গলাব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
৫) লবঙ্গ
গলাব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। একটি লবঙ্গ নিয়ে তাতে ভাল করে সৈন্ধব লবণ লাগিয়ে মুখে রাখুন। গলাব্যথা, গলা খুসখুস, কাশির সমস্যার ভাল দাওয়াই লবঙ্গ।