সকালে উঠে ফেসবুকে স্ক্রোল করা থেকে রাতে ওয়েবসিরিজ দেখা, মোবাইল ছাড়া কোনও কিছুই সম্ভব নয়। ছবি: শাটারস্টক
আঙুলের ব্যথায় চামচ ধরতেও কষ্ট হচ্ছে। আঙুল আর কব্জিতে আড়ষ্ট ভাব। সবই হল অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফল। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে মোবাইল ব্যবহার। বদলে যাওয়া জীবনের এক দিনও মোবাইল ছাড়া কল্পনার অতীত। সকালে উঠে ফেসবুকে স্ক্রোল করা থেকে রাতে ওয়েবসিরিজ় দেখা, অফিসের মেলের রিপ্লাই থেকে বন্ধুদের গ্রুপে চ্যাট— মোবাইল ছাড়া কোনও কিছুই সম্ভব নয়। তবে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। জেনে নিন কোন রোগের দিকে এড়িয়ে যাচ্ছি আমরা।
১) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁরা নাগাড়ে মোবাইলে কথা বললে ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথার সঙ্গে মাইগ্রেনের মাথা ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
২) দীর্ঘ ক্ষণ ধরে মোবাইলে টেক্সট লিখলে টেক্সট ক্ল এবং সেল ফোন এলবো নামে আঙুল ও কব্জির সমস্যা দেখা যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় এই সমস্যার নাম কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম। অনবরত টেক্সট লিখলে বুড়ো আঙুল, তর্জনী এবং মধ্যমা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার হয়। ফলে আঙুল দু’টির কাছাকাছি থাকা স্নায়ুর উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। এর জেরে প্রথমে আঙুল অসাড় লাগে।
অনিদ্রার সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন, এর অন্যতম কারণ হল মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার। ছবি: শাটারস্টক।
৩) যাঁরা দিনরাত মোবাইল সঙ্গে রাখেন এমনকি, বাথরুমে ও ঘুমোনোর সময়েও মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যান তাঁদের পেশি ও স্নায়ুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে স্ট্রেন ইনজ্যুরির ঝুঁকি বাড়ে। অর্থাৎ, যখন-তখন তীব্র ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়।
৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন ছেলেদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার পুরুষদের বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ।
৫) অনিদ্রার সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন। এর অন্যতম কারণ হল মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার। নানা গবেষণায় উঠে এসেছে, রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়, এর ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।