Unique Ram Chandra Puja

ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত ‘বাঙালি রামচন্দ্র’ পূজিত হন কৃষ্ণগঞ্জে

মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। আংশিক দালান আকারের কোঠার উপর একটি শিখর স্থাপিত, যা অনেকটা বর্গক্ষেত্রাকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:০৪
Share:
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই বাংলায় ২৫৬ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত রামমন্দির রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনকালেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধুতি-পাঞ্জাবি পরিয়ে বাঙালি বেশে পুজো করা হয় রাম-সীতার। একেবারে অনারম্ভর ভাবে গুটিকয়েক ভক্তদের সেবায় পূজিত হয় রাম এবং সীতার বিগ্রহ।

Advertisement

মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। আংশিক দালান আকারের কোঠার উপর একটি শিখর স্থাপিত, যা অনেকটা বর্গক্ষেত্রাকার। দালানের প্রতিটি ছাদ সমদ্বিবাহু ট্র্যাপিজিয়াম আকৃতির এবং গর্ভগৃহের প্রতিটি ছাদ ত্রিভুজাকার না হয়ে অনেকটা ঘণ্টার লম্বচ্ছেদের মতো বিরল আকৃতির।

মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে বিশপ হেয়ার সাহেব নৌকা করে ঢাকা যাওয়ার পথে এখানে নেমে মন্দিরগুলি দেখেন এবং মুগ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত জার্নালে মন্দিরগুলির বিবরণ প্রকাশ করেন। রবিবার রামনবমীর দিনে সারা দেশের পাশাপাশি কৃষ্ণগঞ্জের শিবলিবাস মন্দিরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করা এই গ্রামের মন্দিরেও পুজো হল মহাসমারোহে।

Advertisement

মন্দিরের পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই মন্দিরটির ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রয়েছে। অতি দ্রুত এটি সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement