বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজের মধ্যে রয়েছে হরেক রকম ভিটামিন, খনিজ। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনে তিনটি ভারী খাবারের মাঝে টুকটাক মুখ চালাতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খাওয়া যেতেই পারে। মুড়ি, চিঁড়ে কিংবা তেলে ভাজা মুখরোচক খাবারের চাইতে পুষ্টিকর বিকল্প এই বাদাম এবং বীজ। রোজের ডায়েটে এই খাবারগুলি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরাও। সকালের জলখাবারের সঙ্গে, বিকেলে অল্প খিদে মেটাতে এই ধরনের খাবার খাওয়া ভাল। কারণ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজের মধ্যে হরেক রকম ভিটামিন, খনিজ, ভাল মানের ফ্যাট তো রয়েছেই। তার সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে।
নিয়মিত বাদাম এবং বীজ খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই বাদাম এবং বীজ, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা তো বটেই। সামগ্রিক সুস্থতার জন্যেও প্রয়োজনীয়।
২) একমুঠো বীজ এবং বাদাম নিয়মিত খেলে হার্টও ভাল থাকে। কারণ, বাদাম এবং বীজের মধ্যে রয়েছে ভাল মানের ফ্যাট, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৩) বাদাম এবং বীজের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতেও সাহায্য করে। স্নায়ুর বয়সজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে এই উপাদান।
৪) বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। পুষ্টিকর খাবার খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি ভাল পন্থা হতে পারে এটি।
৫) বাদাম এবং বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ডায়াবেটিকদের জন্য এই খাবার নিরাপদ।