Morning Ritual

গরমকালেও মধু খেতে পারেন, কিন্তু তা খাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে, জানেন কি?

মধু এক দিকে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অন্য দিকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিও বটে। মধুর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১১:০২
Share:

চিনির বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার চল আছে অনেক বাড়িতেই। ছবি: সংগৃহীত।

সেই যে জন্মের পর মুখে মধু দেওয়া হল, তার পর থেকে এখনও অনেকের দিন শুরু হয় মধু খেয়ে। কেউ সর্দি-কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধু খান। আবার কেউ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা বছরই উষ্ণ গরম জলে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। মধু একদিকে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অন্য দিকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিও বটে। মধুর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ। যে হেতু মধু প্রাকৃতিক শর্করা, তাই চিনির বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার চল আছে অনেক বাড়িতেই।

Advertisement

তবে অনেকেই মনে করেন, গরমকালে বেশি মধু খেলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একান্ত জ্বর-সর্দি-কাশি কিংবা সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যা না হলে গরমে মধু খাওয়া নাকি ভাল নয়। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু সে কথা বলছেন না। বরং ঈষদুষ্ণ জলে সারা বছর মধু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

ঈষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে কী উপকার হয়?

Advertisement

১) উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে কিন্তু রোগা হওয়া যায় না। বরং এই অভ্যাসে বিপাকক্রিয়া উন্নত হয়। বিপাকহার ভাল হলে শারীরবৃত্তীয় কাজগুলিও সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২) গরমে যা-ই খাচ্ছেন হজমে গোলমাল হচ্ছে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খাবার খাওয়ার অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা আগে হালকা গরম জলে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে হজম ভাল হয়।

৩) সংক্রমণজনিত জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত মধু খেতে হবে। হালকা গরম জলে মধু দিয়ে খাওয়ার অভ্যাসে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হয়।

৪) শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতে সাহায্য করে মধু। প্রতি দিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

৫) শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার হয়ে গেলে ত্বকও তার হারানো জেল্লা ফিরে পায়। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, প্রদাহ কিংবা কোন ক্ষত নিরাময় করতেও মধু বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement