ঘুমপাড়ানি গান নয়, ঘুম আনবে ‘জাদু পানীয়’। ছবি: সংগৃহীত।
হাড় শক্তিশালী করে তোলা থেকে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— রোজের ডায়েটে দুধ রাখা কেবল শিশুদের জন্য নয়, বড়দের জন্যও বেশ জরুরি। অনেকেই প্রাতরাশের সঙ্গে দুধ খান। তবে পুষ্টিব্দদের মতে রাতেও দুধ খাওয়া বেশ উপকারী। ঘুমোতে যাওয়ার খানিক ক্ষণ যাওয়ার আগে যদি এক গ্লাস দুধ খাওয়া যায়, তা হলে নাকি অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। জেনে নিন, রাতে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস কেন স্বাস্থ্যকর।
অনিদ্রা: ঈষদুষ্ণ দুধ খেয়ে বিছানায় গেলে ঘুম ভাল হতে বাধ্য। কারণ গরম দুধে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন ক্ষরণে সহায়তা করে। সেরোটোনিন মানসিক চাপ কমায়। মন শান্ত করে। ফলে ঘুম ভাল আসে।
মানসিক উদ্বেগ: দুধে থাকে পটাশিয়াম, যা স্নায়ু শান্ত রাখে। পেশি সচল রাখতেও দুধ খাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। রাতে অনেকেরই বিভিন্ন কারণে উদ্বেগ হয়, মনের মধ্যে অজানা ভয় কাজ করে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে দেখতে পারেন সমস্যা কমবে।
হজমের গোলমাল: হজমের গোলমাল ঠেকাতে গরম খাবার বেশি খাওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন, তা হলে হজমের গোলমাল, পেট ভার হওয়ার সমস্যা দূরে চলে যাবে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও গরম দুধ খেলে উপকার পাবেন। তবে খুব ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল হলে দুধ খাওয়া যাবে কি না, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
ঘুমোতে যাওয়ার খানিক ক্ষণ যাওয়ার আগে যদি এক গ্লাস দুধ খাওয়া যায়, তা হলে নাকি অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। ছবি: শাটারস্টক।
ডিহাইড্রেশন: গবেষণা জানাচ্ছে, দুধে জলের পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশ। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হোক সেটা না চাইলে দুধ খাওয়া যেতে পারে। দুধ শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
পুষ্টির ঘাটতি: দুধে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ডি-এর মতো উপাদান। দুধ খেলে শরীরে এই উপাদানগুলির ঘাটতি তৈরি হতে পারে না। রাতে শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ কম হয়। ফলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি দুধ খাওয়া যায়, তা হলে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ পাবে শরীর।