খুসখুসে কাশি জব্দ হবে কোন পানীয়ের গুণে? ছবি: শাটারস্টক।
শীতকালে গরমাগরম হিংয়ের কচুরি কিংবা ছোলার ডালে হিং ফোড়ন— ভোজনরসিক বাঙালির বড়ই প্রিয়। ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে, প্রায় সব রাজ্যের খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে এই মশলা ব্যবহারের চল রয়েছে। তবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা রোগ ব্যাধি সারাতেও হিঙের জুড়ি মেলা ভার! হেঁশেলের এই মশলায় ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী হিঙের জল আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। জেনে নিন হিং মেশানো জল খেলে ঠিক কী কী লাভ হয় শরীরের।
১) হিং জল বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। হজমের সমস্যা হলে এই পানীয় মোক্ষম দাওয়াই। হজম ভাল হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ম করে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
২) প্রতি দিন হিংয়ের জলে চুমুক দিলেই বয়স ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে। প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় হিং জল খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এই জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বেরিয়ে আসে তাই ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যাও কমে।
৩) শীতকাল মানেই শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ থাকা এ সব লেগেই থাকে। নিয়মিত হিং জল খেলে শীতকালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। মরসুম বদলের সময় এই হিং জল খেলে শরীর ও ফুসফুস দুই-ই চাঙ্গা থাকে।
হিং শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি করে।
৪) ঋতুস্রাবের সময়ে অনেক মহিলারই তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই সময়ে হিং জল খেলে ওষুধের চেয়ে দ্রুত আরাম পাবেন। মাথা ব্যথা করলেও এই পানীয় খেলে আরাম পাবেন।
৫) উচ্চ রক্তচাপের সমস্য রয়েছে এমন রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হিং শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি করে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি বেশ উপকারী।
কী ভাবে হিং মেশানো জল তৈরি করবেন?
অর্ধেক চামচ হিং গরম জলে মিশিয়ে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে এই জলপান করতে হবে। তবেই মিলবে সবচেয়ে ভাল ফলাফল।