রোজ সকালে চায়ের বদলে খান জাদু পানীয়। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণের খাবার মানেই তাতে কারিপাতার ফোড়ন থাকবে। বাঙালির ডাল, তরকারি কিংবা মাছ-মাংসের পদে অবশ্য কারিপাতা পড়ে না। অথচ, কারিপাতার কিন্তু গুণ অনেক। কারিপাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই। পেটের সমস্যা হোক বা চুল ঝরা, সবেতেই কাজে আসে কারিপাতা। অনেকেই রান্নায় কারিপাতার গন্ধ ভালবাসেন না। কিন্তু, নিয়ম করে কারিপাতা ভেজানো জল খেলে উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন, কেন রোজ সকালে চুমুক দেবেন এই পানীয়ে?
১) কারিপাতায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন চোখের জন্য বেশ জরুরি। ফলে কারিপাতা ভেজানো জল খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
২) কেবল বর্ষাকালেই নয়, শীতেও অনেকের মুঠো মুঠো চুল ওঠে। কারিপাতা এই সমস্যার অবসান ঘটাতে পারে। কারিপাতা ভেজানো জল খেলে চুল ঝরার সমস্যা অনেকটাই কমে। চুল পুষ্টিও পায়। মাথায় কারিপাতার তেল লাগালেও উপকার পাবেন।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ ভাবে কার্যকরী কারিপাতা। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন যৌগ ডায়াবিটিসের ফলে হওয়া কিডনির ক্ষতিও প্রতিহত করতে পারে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
কারিপাতায় রয়েছে কারবাজ়োল এবং অ্যালকালয়েড্স। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কারিপাতায় রয়েছে কারবাজ়োল এবং অ্যালকালয়েড্স। যা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি সকালে খালিপেটে বা রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত।
৫) কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধও খান অনেকে। কিন্তু তাতেও সব সময় সুস্থ থাকা সম্ভব হয় না। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কারিপাতার উপর। খালিপেটে কারিপাতা ভেজানো জল খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।