কাপিং থেরাপি কেন করানো হয়? ছবি: সংগৃহীত।
যন্ত্রণা উপশমে তেল মালিশের বদলে কাপিং থেরাপির উপর ভরসা রাখছে তরুণ প্রজন্ম। বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় থেকে উর্বশী রাউতেলা, ব্যথা-বেদনা উপশমের জন্য এই থেরাপি করান মাঝেমধ্যেই। টলি অভিনেতা দেবকেও দেখা গিয়েছে কাপিং থেরাপি করাতে। ঠিক কী করা হয় এই থেরাপিতে?
এই থেরাপি করানোর সময় দেহের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট কাচ কিংবা সিলিকনের পাত্র বসিয়ে এই থেরাপি করা হয়। চিন, ইজিপ্ট এবং মধ্য প্রাচ্যেই মূলত প্রাচীনকাল থেকেই এই থেরাপির রমরমা ছিল। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এই দেশেও এই থেরাপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ব্যথা কমানোর জন্যই মূলত এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ানো হয়। শরীর নমনীয় রাখতে, পেশির জড়তা কাটাতেও এই থেরাপির উপর ভরসা রাখা যায়। আর কী কী লাভ হয় এই থেরাপি করালে?
ব্যথা উপশম: ঘাড়ের ব্যথা ও পিঠের ব্যথা উপশমে এই থেরাপি শবচেয়ে বেশি কার্যকর। শীতকালে পেশিতে টান লাগে মাঝেমধ্যেই। সেই যন্ত্রণা দূর করতেও এই থেরাপি করাতে পারেন।
উন্নত রক্ত সঞ্চালন: কাপিং থেরাপির মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়লে অনেক শারীরিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এই থেরাপি করালে টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হয়, প্রদাহ কমে।
মানসিক চাপ কমাতে: কাপিং থেরাপি স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই থেরাপি কমালে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে। এই থেরাপি প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, ফলে মন শান্ত হয়।
ডিটক্সিফিকেশন: এই থেরাপির মাধ্যমে শরীরের বর্জ্যপদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। এই থেরাপির পর শরীরে লাল চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।
ত্বক ভাল রাখে: কাপিং থেরাপি ত্বক পরিচর্যার জন্যও বেশ ভাল। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে ও কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। জেল্লা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই থেরাপি। অ্যাকনে, একজ়িমার মতো ত্বকের সমস্যা কমায়।