চিনি খাওয়া বন্ধ করেও ভুঁড়ি বাড়ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ভুঁড়ি বেড়ে গেলে তা কমানো সহজ নয়। শরীরচর্চা, ডায়েট করে ওজন যদিও বা বাগে আনা যায়, তবে পেটের মেদ কিছুতেই ঝরতে চায় না! তাই ভুঁড়ি বাড়ছে কি না, সে ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। তার জন্য খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা প্রয়োজন। রোজকার জীবনে কিছু নিয়ম মেনে না চললে ওজন আর ভুঁড়ি, কোনওটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। নানা অনিয়ম তো আছেই, তবে রোজকার কিছু অভ্যাসও ভুঁড়ির নেপথ্যের কারণ হতে পারে, সেগুলি আগে বদলে ফেলা জরুরি।
১) অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্থূলতার সবচেয়ে বড় কারণ। বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়িয়ে তোলে স্থূলতার আশঙ্কা। যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ছাড়তে হবে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও তেলেভাজা খাওয়ার অভ্যাস।
২) অলসতা: গরম পড়লেই যেন ব্যায়ামের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। শরীরচর্চার অভাব শরীরে মেদ জমার অন্যতম প্রধান কারণ। অফিসে সারা ক্ষণ বসে বসে কাজ, হাঁটাচলার সুযোগ কম, তাই ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যায় পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। দেহের মৌল বিপাকহার বা বিএমআরের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে অনেকটাই বাড়ে পেটে মেদবৃদ্ধির প্রবণতা।
৩) ধূমপান: ধূমপানের ফলে শুধু ফুসফুসের ক্ষতি হয় না, শরীরে প্রবেশ করে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ। নিয়মিত ধূমপান করলে পরোক্ষ ভাবে বৃদ্ধি পায় স্থূলতার ঝুঁকি।
শরীরচর্চার অভাব শরীরে মেদ জমার অন্যতম প্রধান কারণ। ছবি: শাটারস্টক।
৪) মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল দেহে যে স্নেহপদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তা শুধু ভুঁড়ি নয়, জমা হয় দেহের অভ্যন্তরের একাধিক অঙ্গেও। পাশাপাশি, অ্যালকোহল পানে শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতার ক্ষতি হয়। যা বৃদ্ধি করে স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
৫) অসচেতনতা: এই চারটি কারণ ছাড়াও স্থূলতার অন্যতম কারণ হল সচেতনতার অভাব। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করার অভ্যাস মানুষের নতুন নয়। বিশেষ করে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।